আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ যুবায়ের : আবু উমামা রা. এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত করবে তার অন্তর ঐদিন মরবে না, যেদিন অন্তরসমূহ মুর্দা হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজা) কিয়ামতের দিনে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে। সে অবস্থা দেখে ভয়ে সকল প্রাণীর অন্তর মৃত প্রায় হয়ে যাবে। কিন্তু যারা ঈদের রাতে ইবাদত করবে, তাঁরা সেই অবস্থা ভীত হবে না। তাঁরা শক্ত থাকবে। তাদের অন্তরও জীবিত থাকবে।
২। হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের উদ্দেশ্যে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। তারবিয়ার রাত (জিলহাজ্জ মাসের ৮ তারিখের রাত), আরাফার রাত, কুরবানি দিবসের রাত এবং ঈদুল ফিত্বরের রাত ও মধ্য শাবানের রাত। আত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল আসবাহানী-১/২৪৮, লিল মুনজেরী-২/৯৮, হাদীস-১৬৫৬।
এ হাদিস থেকে বুঝা যায় ঈদের রাতে জেগে ইবাদত করলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। কিয়ামতের দিন ভয়ংকর অবস্থা দেখে আমাদের অন্তর যেন ঘাবড়ে না যায়, মরে না যায় এবং আমরা যেন জান্নাত পেতে পারি সেজন্য ঈদের রাতে আমাদের অহেতুক কাজ কর্মে লিপ্ত না হয়ে ইবাদতে মশগুল থাকা দরকার।