মাহ্দী খান অয়ন : রমজান মাস। পবিত্র এ মাস। এ মাসের প্রতিটি মুহূর্ত বরকতময়। এ মাসের পবিত্রতার শুদ্ধতায় ভরে আছে সকলের দেহ- মন- অন্তর। কেননা, প্রতিটি মুহূর্তে অবতীর্ণ হচ্ছে রহমানের পক্ষ থেকে রহমতের অবারিত বারিধারা। আর তারই স্নিগ্ধ পরশে সিঞ্চিত হচ্ছে প্রতিটি গোলামের তৃষিত হৃদয়। ধুয়ে- মুছে সাফ হচ্ছে অন্তরের সকল কালিমা। নিষ্কলুষ হচ্ছে প্রতিটি কলুষিত হৃদয়। রহমত, মাগফেরাত, নাজাতের আশায় দিনে পালন করছে সিয়াম আর রাতে আদায় করছে কিয়াম।
সালাতের মাঝে এবং বাইরে তেলাওয়াত করছে কেউবা শ্রবণ করছে আল্লাহর পবিত্র কালাম। সর্বদা আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন প্রতিটি গোলামের হৃদয়। ইফতার সামনে নিয়ে দয়াময় আল্লাহর কৃপার আশায় হাত তোলে। আর মহান দয়াময় রিক্ত হস্তগুলোকে ভরে দেন তাঁর অনুগ্রহ দিয়ে। তাহাজ্জুদের মাঝে আর্তনাদে অনুশোচনা করে, আপন পাপের দরুণ। আর গাফুরুর- রাহীম তাঁর দয়া দিয়ে মোচন করেন সকল পাপ।
কেমন যেন প্রতিটি গোলাম, গোলামি করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যে দেখি, কার চেয়ে কে কত বেশী গোলামি করতে পারে?? আহ্! কত বরকতময় এ মাস। ধীরে ধীরে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে মহিমান্বিত এ মাস।
হে রাহমানুর রাহিম!!! আমাদেরকে ধ্বংস করো না। তোমার অধম গোলামদের ক্ষমা করো। বঞ্চিত করো না তোমার রহমত থেকে। নাজাত দাও, ঐ দোজখের আজাব থেকে। আর যতটুকু সময় বাকি আছে, তার যথাযোগ্য কদর করার পূর্ণ তাওফীক দান করো। তুমিই তো তাওফীকদাতা। তুমি দয়া করো, মায়া করো। তোমার দয়া বিনে, আমরা যে একেবারেই অপারগ।
হে দয়াময় মালিক!!! তুমি আমাদের আর্তিগুলো কবুল করো। তুমি তো ক্ষমা করতে ভালবাসো, আমাদেরকে ক্ষমা করেই দাও। আমীন। ইয়া রাব্বাল আলামীন।।