দিদার শফিক : ‘নিঃসন্দেহে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ. লাখো লাখো ভক্তের হৃদয় সিংহাসনে আসীন হয়ে থাকবেন। কারণ, ধর্ম-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং রাজনীতির অঙ্গণে সর্বস্তরের মানুষ তার থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে। তার এ সকল অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ এর কর্মময় জীবন শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের নদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সিলেটের জকিগঞ্জ অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চে তাঁর সাহসী নেতৃত্বও সবসময় আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে’।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী বলেন, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান সাহেব রহ এর অভাব ও শূণ্যতা পুরণ হওয়ার মত নয়। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। শুধু বাংলাদেশে নয় বরং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও ছিল তাঁর অবস্থান অনেক উপরে। বিশেষ করে আরবদেশগুলোতে তিনি ছিলেন খুবই সমাদৃত ব্যক্তি। তাঁর সাহস ও দক্ষতা আমাদের সকলের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা তাফাজ্জল হক আজীজ, মরহুম মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ এর সুযোগ্য তিন সন্তান মাওলানা মোরতাজা, মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন, মাওলানা আহমদ বদরুদ্দীন জমিয়তের সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাশেমী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুনীর হোসাইন কাসেমী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা সানাউলাহ মহানগর জমিয়তের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাহবুবুল আলম, মাও: হেদায়েতুল ইসলাম, মাও: রেজাউল করীম, মাওলানা ওমর আলী। যুব জমিয়ত সভাপতি মাওলানা শরফুদ্দীন ইয়াহইয়া কাশেমী, ছাত্র জমিয়ত সভাপতি মুফতী নাসির উদ্দীন খান, যুব জমিয়ত ঢাকা মহানগর সভাপতি মাও: জাবের কাশেমী সেক্রেটারী মাওলানা তোফায়েল গাজালী ছাত্র জমিয়তে ঢাকা মহানগর সভাপতি বুরহানুদ্দীন প্রমুখ।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর/ওএস