যুবায়ের ইসহাক : এক ঈদে মহানবি সা ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হলেন। পথে দেখলেন কিছু ছেলে খেলাধুলা করছে। কিন্তু একটি শিশু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। রাসুল সা. ছেলেটির কাছে গেলেন। মাথায় মমতার হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, বৎস কাঁদছো কেন? ছেলেটি উত্তর দিল, আমার কাঁদার কারণ জেনে আপনি কী করবেন। রাসুল মুচকি হেসে বললেন, আচ্ছা বলো কেন কাঁদছো? ছেলেটি জবাব দেয়, আমার আব্বু শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। আমার অাম্মু অন্য লোককে বিয়ে করছেন। আজ আমার কেউ নেই। তাই কাঁদছি।
রাসুল সা. ছেলেটিকে নিয়ে বাসায় ফিরলেন। অায়েশা রা. ডেকে বললেন, ছেলাটিকে উত্তমভাবে গোসল দাও। সুন্দর জামা পরাও।
ঈদের আর মাত্র ক'দিন বাকি। আমরা কেনাকাটায় ব্যস্ত। নতুন জামাকাপড় কিনতে যাচ্ছি মার্কেটে। রঙ বেরঙের পোশাক নিয়ে ফিরছি বাড়ি। প্রতি ঈদে কত আনন্দই না করি আমরা। নতুন জামা পরি। পোলাও খাই। সারাদিন এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াই। নানান অানন্দের ভেতর ঈদ উদযাপন করি। কিন্তু এমনও অনেক মানুষ আছেন যাঁদের ঈদ আনন্দ তো দূরের কথা। সারাদিন কাটায় ক্ষুধার তাড়নায়। সারা জীবনের এক ঈদেও জুটে না নতুন কাপড়।
হ্যাঁ একম কিছু মানুষ বাস করে বাংলাদের সীমান্ত এলাকা গাড়ো পাহাড়ে। যারা বঞ্চিত। অবহেলিত। শিক্ষা থেকে দূরে। যারা জীবনের আনন্দ বলতে কোনো বস্তু নেই। তবুও সমাজে অনেক হৃদয়বান মানুষ থাকেন। যাঁরা তাদের দানের হাত বাড়িয়ে দেন। অনেক সমাজিক সংগঠন থাকে যারা সেবামূলক কাজ করেন। তেমনি একটি সংগঠনের নাম ‘আমাদের ঝিনাইগাতী’ ।
সংগঠনটি এবার গাড়ো পাহাড়ে ঈদ অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে। বলতে গেলে বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ প্রথম। এটি নিছক সাধারণ অনুষ্ঠানও নয়। এর মাধ্যমে ফুটবে অনেক শিশুর মুখে হাসি। অনেক বঞ্চিত হবে অানন্দিত।
সংগঠনটি এর আগেও গাড়ো পাহাড়ে দুটি স্কুল করেছে। সফলতার সঙ্গে বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। স্কুল দুটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০। যাদের পুরো খরচ বহন করছে সংগঠনটি।
আমাদের ঝিনাইগাতীর তেমন কোন অায়ের পথ নেই। ১০/১২ জন বন্ধু মিলে প্রতি মাসে কিছু টাকা দিয়ে স্কুল চালান। এবার ঈদে থাকছে সেই ৫০ টি পরিবারের জন্য কিছু আয়োজন। ৫০টি পরিবারের মাকে দেওয়া হবে একটি করে শাড়ি। প্রতিটি শিশুকে দেওয়া হবে টিশার্ট। যাতে খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এছাড়া ঈদের পর দিন থাকছে প্রতিযোগিতা ও ঈদ পূনমিলনী অনুষ্ঠান। যেখানে পুরস্কার ও খাবারের আয়োজন থাকবে। সব মিলিয়ে প্রয়োজন প্রায় ৫০ হাজার টাকার।
বিশাল এই অর্থ সংগঠনটির পক্ষে বহন করা অসম্ভব। এ জন্য সংগঠনটি ফেসবুকে একটি ইভেন্টের আয়োজন করেছে। যেখানে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আহবান করা হয়েছে। সাধ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়ানো।
পাহাড়ে এ ধরনের শুভ উদ্যোগ এটাই প্রথম। আপনি চাইলে ওদের সারথী হয়ে পাশে থাকতে পারেন। গরিব অসহায় মুসলিম শিশুদের আনন্দের ভাগী হতে পারেন। সামর্থের মধ্যেই ওদের দিতে পারেন একটু সুখ। মহৎ এ উদ্যোগটিতে সঙ্গে আছে আওয়ার ইসলামও।
ওদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাহায্যের জন্য ফোন : 01717-831937 : 01916920773 : 01869-815518
ইভেন্টে লিংক : পাহাড়ে ঈদ উৎসব
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর