মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী। শিক্ষিত, মার্জিত, প্রতিশ্রুতিশীল একজন প্রবীণ সাংবাদিক, লেখক ও সম্পাদক। বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ। জাতীয় ঐক্য ও মুক্তির লক্ষে নিবেদিতপ্রাণ। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে দৈনিক ইনকিলাবের গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় পদে কর্মরত। মাওলানা মুহিউদ্দিন খান রহ. সম্পাদিত অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। তার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি জাকির মাহদিন
আওয়ার ইসলাম : আমাদের সমস্যাগুলো কোথায়, নাকি আমাদের কোনো সমস্যা নেই? ‘আমাদের’ বলতে আপনি কাদের বুঝেন?
উবায়দুর রহমান খান নদভী : আমাদের বলতে আমি প্রথমত বিশ্বের সমস্ত মানব জাতিকে বুঝি। এদিক থেকে ‘আমাদের’ অর্থাৎ সাতশত কোটি মানুষের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, সবাই ইসলামের ছায়াতলে আসতে না পারা। ইসলামের মতো একটি পরীক্ষিত, উদার ও সর্বজনীন ধর্মকে সমস্ত মানব জাতি গ্রহণ না করা- এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। দ্বিতীয়ত, ‘আমাদের’ বলতে আমি বুঝি বাঙালি ও বাংলাদেশি জাতি। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। এ দেশের সবচেয়ে খারাপ ও জঘন্য ব্যক্তি হচ্ছে রাজনীতিকরা। এদের কোনো শিক্ষা নেই, দর্শন নেই, আদর্শ নেই। দেশের নব্বইভাগ সাধারণ মানুষ মানবিক, ধর্মপ্রবণ। এদের নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোনো শক্তি বা নেতৃত্ব বাংলাদেশে আজও বিকশিত হয়নি, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। তৃতীয়ত, ‘আমাদের’ বলতে আমি আমার ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট মানুষদের বুঝি। এ তিন শ্রেণির মানুষের জন্য আমি দল-মত-পেশার উর্ধ্বে উঠে সমানভাবে চিন্তা ও কাজ করছি। একজন লেখক সাংবাদিক হিসেবে আমি সবার সমস্যা সমানভাবেই তুলে ধরতে চেষ্টা করছি এবং সবার কথাই বলছি। এ শেষোক্ত শ্রেণির সমস্যা হচ্ছে, আমরা নতুন কিছু করতে একেবারেই রাজি না। সাহস নেই, উদ্ভাবনী চিন্তা নেই। চিন্তা ও জ্ঞানগত দিক থেকে সম্পূর্ণই পিছিয়ে আছি। আমরা আনস্মার্ট, গতানুগতিক। অথচ আমাদের হাতে আছে ত্রিশ কোটি বাংলাভাষী, এরমধ্যে ষোল কোটি স্বদেশি। এদের জন্য আমাদের প্রচুর চিন্তাভাবনা, ত্যাগ, সংগঠিত করা, দিকনির্দেশনা দেয়া, শিক্ষিত করা, উজ্জীবিত করার প্রয়োজন ছিল। এর কিছুই আমরা করছি না। তবু আমরা আশাবাদী। যেটুকু পারছি সীমিত পরিসরে করছি। যা পারছি না তার পেছনে কতগুলো সুনির্দিষ্ট কারণ আছে। আমাদের অর্থনৈতিক ভিত খুবই দুর্বল, ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পৃক্ততা ও সরকারি সমর্থন-সহযোগিতা নেই। সারাজীবন এত ত্যাগ, এত খাটাখাটনি করেও কপালে জোটে একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী নামক বুদ্ধিবিকৃত শ্রেণি ও সরকারি দোসরদের গালাগাল, অপবাদ। তাও সমস্যা না যদি আমরা আলেমগণ নিয়মিত একসঙ্গে বসতে পারি। সবাই বসে ভাবলে, পরামর্শ ও মতবিনিময় করলে আমরা অবশ্যই দেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখতে পারব।
[caption id="attachment_4278" align="alignright" width="292"] আমাদের পাক-ভারত-বাংলাদেশের আলেমরা ইসলামকে যেভাবে ব্যাখ্যা করছেন এর মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। এদের অনেকেই ইসলামকে নিজেদের পরিবেশ, রাজনীতি এবং সঙ্কীর্ণ স্বার্থের গণ্ডি থেকে ব্যাখ্যা করেন। [/caption]
আওয়ার ইসলাম : ইসলাম গ্রহণ না করাই বিশ্ববাসীর প্রধান সমস্যা হলে এ ইসলামকে আপনারা বিশ্ববাসীর সামনে কীভাবে উপস্থান ও পেশ করছেন? নবি সা. ও সাহাবাগণ যেভাবে পেশ করেছিলেন সেভাবে?
উবায়দুর রহমান খান নদভী : হযরত মুহাম্মদ সা. যেভাবে বিশ্ববাসীর সামনে ইসলাম পেশ করেছিলেন আমাদেরও সেভাবেই করা উচিত। বিশ্ববাসীর সামনে ইসলামকে প্রচলিত রাষ্ট্রচিন্তার উত্তম বিকল্প, বিশ্বাসের বিকল্প, অভ্যাস-চরিত্র-সংসকৃতির বিকল্প হিসেবে তুলে ধরা প্রয়োজন। ইসলাম একটি প্রাকৃতিক ও বিপ্লবী ধর্ম। আমাদের পাক-ভারত-বাংলাদেশের আলেমরা ইসলামকে যেভাবে ব্যাখ্যা করছেন এর মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। এদের অনেকেই ইসলামকে নিজেদের পরিবেশ, রাজনীতি এবং সঙ্কীর্ণ স্বার্থের গণ্ডি থেকে ব্যাখ্যা করেন। ‘নিজেদেরে’ জয়ী করার ক্ষেত্রে ইসলামকে ব্যবহার করেন। ফলে বাইরের মানুষের কাছে এদের সঙ্কীর্ণতা ও দোষের সঙ্গে ইসলাম মিশে যায়। তখন ইসলামকে বিরোধিরা লক্ষবস্তু বানায়। এক্ষেত্রে আমাদের ভাষা, উপস্থাপন ও কৌশলগত প্রচুর সমস্যা আছে। দাওয়াতের পদ্ধতি নিয়ে আমাদের জ্ঞান ও প্রশিক্ষণের যথেষ্ট অভাব। তাছাড়া সব আলেম, তালেবে এলেমের তেমন যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা নেই।
আওয়ার ইসলাম : আপনার লেখনি, ভাষণ, ওয়াজ-নসিহতগুলোও কি সেই একই ভাষা-পদ্ধতি-কৌশলে উপস্থাপন করা হচ্ছে না? আপনি কি সাহসের সঙ্গে আমাদের আলেমসমাজকে নিজেদের ভুলত্রুটি সম্পর্কে সচেতন করছেন?
উবায়দুর রহমান খান নদভী : আপনি যা বললেন তা ঠিক না। তেমনটা হয়তো খুব সামান্য এবং সেটাও কৌশলগত কারণেই কখনো কখনো করতে হয়। সবসময় অনুরোধ বা নমনীয়তা গ্রহণযোগ্য না। আমার অধিকাংশ লেখা ও ভাষণ অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম।
আওয়ার ইসলাম : আপনার মতো একজন প্রবীণ ইসলামি চিন্তাবিদ ও লেখক সাংবাদিকের কাছ থেকে আমরা তরুণরা আমাদের দেশের ইসলাম ও রাজনৈতিক ঐক্যের কোনো উদ্যোগ বা প্রক্রিয়া আশা করতে পারি?
উবায়দুর রহমান খান নদভী : আশা কেন, এটা অলরেডি চলমান। আমি আমার ৩৫ বছরের কর্মজীবনের প্রতিটি মুহূর্তই ঐক্য ও সমন্বয়ের চেষ্টায় আছি। তাছাড়া ‘ঐকের’ যে ধারণা বা চিত্র আপনাদের মনে এঁকেছেন তার সঙ্গে প্রকৃত ঐক্যের চিত্রটা নাও মিলতে পারে। আজ আমাদের মধ্যে ঐক্য হয়তো খুব একটা নেই, কিন্তু যতটুকুওবা আছে তা আমাদেরই অবদান। এই ঐক্যটাও অনেক মূল্যবান এবং আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আলেমগণের ঐক্য মাত্র ১০মিনিটের ব্যাপার। বাংলাদেশের সরকারি দল, বিরোধী দল এবং অন্যান্য পেশার লোকেরা যতটুকু ঐক্যবদ্ধ, তারচেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ আলেমগণ। প্রধান দশটি ইসলামি দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা নেতা- সবার সঙ্গেই আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ও মৌলিক ঐক্য আছে। তবে নাম ও পরিচিতি আমি নির্দিষ্ট করে বলব না।
আওয়ার ইসলাম : কেন বলবেন না? এমন জ্ঞানী ও নেতাদের পরিচয় আমাদের কাছে গোপন রাখবেন কেন? আমরা তাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে চাই। তাদের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে করতে চাই। আর অন্যদল ও পেশাগুলোর সঙ্গে তুলনা করে আলেমদের বর্তমান যে ঐক্যের কথা বললেন সে তুলনাটাইবা কতটুকু যৌক্তিক? কারণ ইসলাম একটি শ্বাশ্বত ধর্ম। স্বয়ং এর নিজের অনেক শক্তি ও প্রভাব আছে। তারওপর নবি সা. ও সাহাবাগণের সীমাহীন কুরবানিও কম কথা না। সুতরাং ইসলামের এতটুকু প্রভাব ও ঐক্য তো এমনিতেই থাকার কথা।
আমাদের বলতে আমি প্রথমত বিশ্বের সমস্ত মানব জাতিকে বুঝি। এদিক থেকে ‘আমাদের’ অর্থাৎ সাতশত কোটি মানুষের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, সবাই ইসলামের ছায়াতলে আসতে না পারা। ইসলামের মতো একটি পরীক্ষিত, উদার ও সর্বজনীন ধর্মকে সমস্ত মানব জাতি গ্রহণ না করা- এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা।
উবায়দুর রহমান খান নদভী : এটা আসলে খুবই সুন্দর একটা কথা যে ইসলামের স্বশক্তি বলেই এবং এর নবি ও সাহাবাদের কুরবানির প্রভাবেই ইসলাম কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে। আজকের বিশ্বের প্রায় তিনশত কোটি মুসলমান যে আদর্শ ধারণ করে জীবনযাপন করছে তা সেই শক্তি ও ত্যাগের বলেই। আলেমগণ অর্থবিত্ত ও ক্ষমতার মালিক হলে এসব নিয়ে তাদের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্ব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। হাদিসেও এ ব্যাপারে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আমার উম্মতের দারিদ্র্যকে আমি এত বেশি ভয় পাই না, যতটা ভয় পাই সম্পদ ও ক্ষমতাকে। যা হোক, যদি বর্তমান ইসলামি নেতা ও ব্যক্তিত্বের নাম নাম শুনতে চান তাহলে বলব, মাওলানা আহমদ শফী, জুনায়েদ বাবুনগরী, নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুল জব্বার ... এরা গড়ে দেশের অন্যান্য রাজনীতিক ও ব্যক্তিদের চেয়ে অনেক ভালো। যদিও এদের সঙ্গে আমরা নিজেদের তুলনা করতে চাই না।
আওয়ার ইসলাম : প্রথম চারজনের পর যাদের নাম বললেন এরা অনভিজ্ঞ, কথাবার্তায় মানানসই না, বয়সেরও ঘাটতি আছে।
উবায়দুর রহমান খান নদভী : হ্যাঁ এরা আমার জুনিয়র, জ্ঞান-গভীরতা, অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু এদের সাংগঠনিক একটা শক্তি আছে। এরা মানুষজনের কাছে যান, মিশেন, আপনার আমার মতো জ্ঞান নিয়ে ঘরে বসে থাকেন না। তাছাড়া এদের চেয়ে অনেক বেশি অসংলগ্ন মূর্খতাপ্রসূত কথাবার্তা বলছে সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। যা হোক, এই তরুণ নেতাদের চিন্তা, দর্শন আমাদের গড়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কী নেই, কতটুকু নেই তা না দেখে যা আছে তার ওপর কাজ করে বাকিটা পূর্ণ করুন। এরা আমাদের কথা শোনে, মানে। সুতরাং এদের চিন্তা, আদর্শ, জ্ঞান, আইডিয়া দেয়া চিন্তাশীলদের কাজ।
আওয়ার ইসলাম : যদি যথেষ্ট পরিমাণে আমাদের ঐক্য থাকেই তাহলে আমাদের এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এখন চাকরি, বিলাসিতা ও দুনিয়াদারিতে নজর দিতে পারি।
উবায়দুর রহমান খান নদভী : না, যতটুকু দরকার ততটুকু নেই। আমরা একটু চেষ্টা করলে আরো ভালোভাবে, আরো সংগঠিতভাবে, আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে পারি। সেই সামান্য চেষ্টাটুকু অন্তত করা উচিত।
আওয়ার ইসলাম : এ সূত্রে বাংলাদেশের প্রথম সারির দশটি ইসলামি রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আপনি ব্যক্তিগতভাবে কোনো কনফারেন্স বা মতবিনিময় বৈঠক করার চিন্তাভাবনা রাখেন?
উবায়দুর রহমান খান নদভী : অবশ্যই। এটা আমি করিও। আমি ডাকলে তারা আসেন, বসেন, কথা বলেন। কিন্তু ঐক্যের ব্যাপারে আমার ধারণা ভিন্ন। ঐক্য আসলে জবরদস্তিমূলক হয় না, নেতৃত্বও না। এসব গড়ে ওঠতে হয়।
আওয়ার ইসলাম : ইসলামি নেতৃবর্গ ও চিন্তাশীলদের পাশাপাশি অন্যান্য বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসা যায়?
উবায়দুর রহমান খান নদভী : অবশ্যই। আমি একটা সময় এ শ্রেণির ব্যক্তিদের সঙ্গেও বসেছি, কথা বলেছি। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ জায়গাটা নিয়ে কাজ করেছি। যেমন ড. আহমদ শরীফ, সরদার ফজলুল করিম। আহমদ ছফা এবং এমন আরো অনেকের সঙ্গে। কিন্তু তারা আমাদের প্রতি এতটা ঘৃণা ও বিদ্বষ পোষণ করেন যে এক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখার খুব একটা সুযোগ আমাদের নেই। তাই নিজেদের জায়গায় নিজেদের কাজগুলো আরও গুরুত্বের সঙ্গে করতে হবে যেন সঠিক ম্যাসেজগুলো তারা পান। সেই মেসেজগুলো আমরা দিতে পারলে তাদের অনেকেরই ভুলগুলো ভেঙ্গে যাবে।
আওয়ার ইসলাম : মাওলানা মুহিউদ্দীন খান সম্পর্কে আপনার কিছু গভীর স্মৃতি এবং স্বতন্ত্র মূল্যায়ন জানতে চাই।
উবায়দুর রহমান খান নদভী : তার সম্পর্কে সঠিক মূল্যায়ন করার যোগ্যতা আসলে আমার নেই। মাসিক মদিনা পত্রিকাটির জন্য তার মুজাহাদা, ত্যাগ অনুসরণীয়। তিনি একজন খ্যাতিমান লেখক সাংবাদিক এবং আন্তর্জাতিক সংগঠক। একদিক থেকে তিনি আমার গুরু। কর্মজীবনের মাঝের দীর্ঘ একটা সময় তার সংশ্রব পেয়েছি। তখন আমি সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানের নির্বাহী সম্পাদক হওয়া ছাড়াও তার ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছি। তার হয়ে চিঠি আদান-প্রদান, যোগাযোগ ইত্যাদি অনেক কিছুই আমাকে করতে হয়েছে। তাকে আমি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণের সৌভাগ্য লাভ করেছি। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, এটা বিশাল এক শূন্যতা। তবে এটাও আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, এই পবিত্র রমজানে আল্লাহ তাকে কাছে নিয়েছেন। যারা মুমিন, তাদের একটা কামনা থাকে রমজান মাসে পরপারে পাড়ি দেয়া। সেদিক থেকে তিনি সৌভাগ্যবান।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর