আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ যুবায়ের : হজরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমজানের শেষ দশক শুরু হলে রাসুল সা. নিজে সারা রাত ইবাদত করে কাটাতেন এবং পরিবারের লোকদেরও ঘুম থেকে তুলে দিতেন। এ সময় তিনি ইবাদতের কঠোর অনুশীলনের জন্য নিজের মধ্যে শক্তি ও উৎসাহ সৃষ্টি করতেন। সহিহ মুসলিম, ইতেকাফ অধ্যায়
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. রমজানের শেষ দশকে ইবাদতের জন্য যে কঠোর সাধনা করতেন অন্য কোনো সময় তিনি এতটা করতেন না। সহিহ মুসলিম, ইতেকাফ অধ্যায়)
প্রথম হাদিসটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়-
১। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা রাত ইবাদত করে কাটাতেন। অতএব বলা যায়, যাদের শরীর সুস্থ এবং সারা রাত জেগে থাকলে শারীরিক কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনাও কম তাদের জন্য রমজানের শেষ দশদিন সারা রাত জেগে ইবাদত করা উত্তম।
২। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবারের লোকদের ঘুম থেকে তুলে দিতেন। এ অংশের মাধ্যমে দুটা শিক্ষা আমরা নিতে পারি।
১। রমজানের শেষ দশদিন নিজে নিজে ইবাদত করলেই হবে না বরং পরিবারকেও ইবাদতে শামিল করাতে হবে।
২। যারা সারা রাত জেগে থাকতে পারেন না, তারা রাতের কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নিবেন তারপর উঠে ইবাদত করবেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় হাদিস উভয়টি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশদিনে সাধারণ দিনের তুলনায় অনেক বেশি ইবাদত করতেন এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে অনেক পরিশ্রম করতেন।
অতএব আমাদেরও উচিৎ রমযানের শেষ দশদিন অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি বেশি ইবাদত করা এবং ইবাদতে কঠোর হওয়া।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর