আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্ডিয়া শ্যাল অ্যান্ড উইল রিমেন আওয়ার এনিমি নাম্বার ওয়ান। জানিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক-সেনাপ্রধান আসফাক পারভেজ কিয়ানি। ভারত সম্পর্কে ঘৃণার এই শিকড়টি পাকিস্তানের গভীরে রয়ে গিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই পাকিস্তানের শিশুদের মনে ভারত সম্পর্কে এই ঘৃণার বীজটি বপন করে দেওয়া হয়।
জিও-নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথাই জানালেন প্রাক্তন পাক-বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খান। ২০১১-’১৩ পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন হিনা। তাঁর মতে, ছোটবেলা থেকেই পাকিস্তানের শিশুদের মনে ভারত সম্পর্কে ঘৃণা গেঁথে দেওয়া হয়। এটাই পাকিস্তানের জাতীয় পরিচয়ের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে।
প্রায় ছ’দশক ধরে পাক-শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে এই ঘৃণার লালন-পালন চলছে বলে জানিয়েছেন হিনা। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ক্ষমতায় থাকার সময়ে এই বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানান হিনা। এই সাক্ষাৎকারে ওঠে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। পাকিস্তান কখনই যুদ্ধের মাধ্যমে কাশ্মীরের দখল নিতে পারবে না বলে হিনার বিশ্বাস। সে ক্ষেত্রে আলোচনাই এক মাত্র পথ। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সুসম্পর্ক আর পারস্পরিক বিশ্বাস। কিন্তু ঘৃণার বাতাবরণে তা সম্ভব নয়।
আর ঘৃণার এই পরিবেশই আমেরিকাকে ক্রমশ দূরে ঠেলে দিচ্ছে বলে জানান হিনা। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের উন্নতি পাকিস্তানের চক্ষুশূল। কিন্তু হিনার মতে পাকিস্তান কখনও ভেবে দেখেনি কেন আমেরিকা ক্রমেই ভারতের দিকে ঝুঁকছে। এর কারণ কখনই ভারতের পারমাণবিক বা সামরিক শক্তি নয়। এর কারণ, ভারতে জনগণের হাতে ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি খুবই শক্তিশালী। পাকিস্তানের প্রতি আমেরিকার আগ্রহ আবার ফিরিয়ে আনতে হলে এই বিষয়গুলিতে জোর দিতে হবে বলে জানান হিনা।
সূত্র : এবিপি নিউজ
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম/ওএস