ইমতিয়াজ বিন মাহতাব : সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের খামিস মুশাইত শহরের প্রবাসী বাংলাদেশি হাফেজ ফয়জুল করিম এখন সৌদি আরবের সবার কাছে সুপরিচিত ব্যক্তি। তার নাম এখন আরবদের মুখে মুখে। সৌদি আরবের মিডিয়া পাড়ায় তাকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। কে কার আগে তার সাক্ষাৎকার নেবে, তাকে লাইভ প্রোগ্রামে হাজির করবে তা নিয়ে এক অলিখিত প্রতিযোগিতা চলছে। এমনই তথ্য জানালেন সৌদি আরব প্রবাসী আল খোবার এলাকার এক মসজিদের ইমাম বাগেরহাটের মাওলানা মুজ্জাম্মেল হক। তার কাছে খামিস মুশাইতের প্রবাসী হাফেজ ফয়জুল করিমের নাম উচ্চারণ করতেই তিনি বললেন, সৌদি আরবের মানুষ কুরআনুল কারিমকে প্রচুর সম্মান করেন। সেই সুবাদে হাফেজে কুরআনকেও তারা যথেষ্ট সম্মান করেন। ঝাড়দার ফয়জুল করিম ভালো কুরআন তেলাওয়াত করতে জানেন এবং তিনি হাফেজে কুরআন জানতে পেরে তারা তাকে ঝাড়–দার থেকে ইমাম বানিয়ে দেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তাকে নিয়ে প্রোগ্রাম করা হচ্ছে। সেখানে তার হিফজের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বিখ্যাত কারী আবদুল বাসিতের সুরে অত্যন্ত সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। টিভি চ্যানেলগুলোতে তার আরও বিভিন্ন সুরে কুরআন তেলাওয়াত শুনে আরবরা মুগ্ধ হয়েছেন। তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে নগদ অর্থসহ নানা পুরস্কার। প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পেপারগুলোতেও তাকে নিয়ে নিউজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ফয়জুল করিম সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াতের রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। তার এই পোস্টটি অস্বাভাবিক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি পবিত্র কুরআন শরিফের হাফেজ। জীবিকার খোঁজে তিনি খামিস মুশাইত পৌর কর্তৃপক্ষের অধীনে ঝাড়–দারের কাজে যোগ দান করেন। তিনি হাফেজে কুরআন এ খবর জানতে পেরে কর্তৃপক্ষ তার কুরআনের হিফজের পরীক্ষা নেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুমধুর কুরআন তেলাওয়াত ও হাফেজে কুরআন হওয়ার কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ তাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এক মসজিদের পেশ ইমাম নিযুক্ত করে ফজুল করিমকে সম্মান জানায়।
আরো পড়ুন : ঝাড়ুদার হলেন ইমাম
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর