মাওলানা মুহাম্মদ আরাফাত, অতিথি লেখক : রোজা মহান প্রভুর পালনীয় বিধান। রাসুলের ফরমান। হিজরি ২য় বর্ষের ফরমান। মুমিনের ইবাদত। মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত উৎসব। রোজা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা। সওয়াব ও মালিকের নৈকট্য লাভের আশায় বুক বাঁধা।
রোজা প্রভু সন্তুষ্টির ভরা বসন্ত। রোজা প্রভু ভক্তের নজরানা । নবি প্রেমের অনন্য চেতনা। তাকওয়া ও খোদা ভীরুতার সোনালি সিঁড়ি। রোজা পয়গাম্বরি আদর্শ। নবিদের আমল। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। সুরা বাকারা : ১৮৩
ত্যাগ সংযম আত্নশুিদ্ধর সিয়াম সাধনা। সাহরি ইফতার ও তারাবিতে ঐক্যের মোহনা। রহমত মাগফেরাত আর নাজাতে ঘেরা এ মাস। এক মুঠো অন্নের অভাবী অসহায় গরিব হতদরিদ্রের প্রতি সৃষ্টি হয় ধনীদের অনুসূচনা। জাগ্রত হয় গরিবের প্রতি সহানুভূতির চেতনা। সৃষ্টি হয় এতিমের মাথায় হাত বুলানোর প্রেরণা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে তোমার কাছে সাহায্য চায় তাকে তাড়িয়ে দিওনা। সুরা দোহা : ১০
এ মাস বান্দা দিনাতিপাত করে অনাহারে । সহ্য করে ক্ষুধার যাতনা। কষ্ট সহ্য করে গরিব। করে ধনীও। রোজা যেন মনিবের পূর্ণ দাসত্বের ঠিকানা। রোজাদারের ঘর খাবারে পরিপূর্ণ। পেটটা খাবার শূন্য। অথচ সামনে উপস্থিত ইফতারের অন্ন। বুকে আল্লাহর ভালবাসা আর ভয়। তাই মুখে খাবার না তুলে রয়। এ রোজা আল্লাহর জন্যে। শুধুই আল্লাহর জন্যে। এই ত্যাগ আর কষ্ট মাবুদের কদমে। এই সংযম আর অনাহার মাওলার দাসত্বের। এই সিয়াম সাধনা প্রভুর সাক্ষাতের। এ রোজার প্রতিদান প্রভুর কাছে । পুরস্কার আল্লাহর হাতে। বিতরণ করবেন নিজ হাতে। পুরস্কার হবেন আল্লাহ নিজেই। জান্নাতের বড় নেয়ামত আল্লাহ পাকের সাক্ষাৎ। মাওলা পাকের দিদার লাভ করবে শুধুই রোজাদার। রোজাদারের জন্য রোজা হবে প্রভুর সাথে মিলনের সেতুবন্ধন। হাদিসে রাসুল সা. বলেন, রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি ইফতারের সময়। অপরটি প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের। তিরমিজি : ৭৬৬
সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, রোজা আমার সন্তুষ্টির জন্য। এর পুরস্কার আমি নিজে দেব। বুখারি : ১৭৮৩
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম / আরআর