নাঈমা তামান্না : রমজান মাসে দৈনিক তিন ঘন্টা সময় আছে৷ যে কোন মূল্যেই হোক সেখানে কোন অবহেলা ও ত্রুটি করা যাবে না৷ কারণ সময়গুলোর মাহাত্ম একাধিক সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত৷ যদি সে সময়টির প্রতি যত্নশীল হওয়া যায় তবে সারা মাসের হিসেবে তা নব্বই ঘন্টা হয়ে যাবে৷ যা একটা মানুষের জন্য জীবনের বিশাল পাওনা৷
বছরের অন্যদিনগুলোতে এই সুযোগটি গ্রহণ করা হয়ে ওঠে না৷
১. ইফতারের সময়৷ হাদিসে আছে ইফতারের সময় করা বান্দার দোয়া কখনোই ফেরত দেয়া হয় না৷ সুতরাং তাড়াতাড়ি ইফতার তৈরি করে দোয়ার জন্য অবসর হয়ে যাওয়া৷ নিজের জন্য দোয়া করবে, এবং নিজের প্রিয়জনদের জন্য দোয়া করবে৷ দোয়ায় মৃত মুসলমানদের ভুলবে না৷ কারণ তারা দোয়ার মুখাপেক্ষী৷
২. ২য় সময়টা হলো শেষ রাতের সময়৷ ঐ সময় আল্লাহর সাথে বন্ধুত্ব করার শ্রেষ্ঠ সময়৷ কেননা তিনি তখন ডাকতে থাকেন, কে আছো সুয়ালকারী আমার কাছে চাও, আমি তাকে দিবো৷ কে আছো ক্ষমা প্রার্থণাকারী আমি তাকে ক্ষমা করবো৷ সারা বছরই তিনি শেষ রাতে আমাদের খুব কাছে চলে আসেন এবং বান্দাদের ডাকাডাকি করেন৷
কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে ঘুমেই বিভোর থাকি৷ রমজানে বেশি গুরুত্ব এজন্য দেয়া হয়েছে কেননা তখন সবাই ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ইফতারের জন্য উঠে৷ তাই সময়টা কাজে লাগানো সহজ এবং তখন বেশি বেশি ইস্তেগফার করা উত্তম হবে৷
৩. তৃতীয় সময়টা হলো ফজরের পর এশরাকের সময় পর্যন্ত সময়টা জায়নামাজে ইবাদতে কাটানো৷ বাকি সময়গুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে জিকিরের মাধ্যমে এবং গিবত থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে৷ কেননা গিবত আমলগুলোকে সমূলে উপড়ে ফেলে এবং খুব লক্ষ্য রাখতে হবে ফরজ নামাজগুলোর প্রতি৷ যেনো কোন ক্রমেই ছুটে না যায়৷ এবং বেশি বেশি নফল পড়া কেননা এই দিনগুলো বড় মোবারকময়৷ জীবনের দ্বিতীয়বার পাবো এমন কোনো গ্যারান্টি নেই৷
আল্লাহ কবুল করুন আমাদের সিয়াম সাধনা৷ সত্যিকারের আত্মসংযোমী বানিয়ে দিন৷
একজন আরব সাহিত্যিকের লেখা থেকে
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর