আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ যুবায়ের : আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাঁকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুইবার বলে- আমি সওম পালন করছি। ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য, তাই এর পুরস্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের পরিমাণ দশ গুণ। -সহিহ বুখারির সওমের ফযিলত অধ্যায়
এ হাদিস থেকে চারটি বিষয় পাওয়া যায় যা রমযান মাসে করা যাবে না।
১। কোন প্রকার অশ্লীল কাজ করা যাবে না।
২। মূর্খের মত কাজ করা যাবে না। প্রতিটা কাজ ভেবে চিন্তে করতে হবে। হুট হাট কাজ করা যাবে না। জ্ঞান-বুদ্ধি খাঁটিয়ে সকল কাজ করা।
৩। ঝগড়া করা যাবে না। এমনকি কেউ যদি গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে তাঁকেও ‘আমি রোজাদার’ বলে সতর্ক করতে হবে এবং তাঁকেও ঝগড়া থেকে বিরত রাখতে হবে।
৪। কাউকে গালি দেয়া যাবে না। কেউ গালি দিতে উদ্যত হলে তাঁকে থামিয়ে দিতে হবে। ‘আমি রোজাদার’ বলে সতর্ক করতে হবে।
রমযান মাসের বাইরেও এসব কাজ করতে ইসলাম বারণ করেছে। রমযান মাসে আমরা এসব কাজ থেকে বিরত থাকার প্রশিক্ষণ নিব এবং রমযানের বাইরে সেই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে নিজেও ভালো থাকব অন্যকেও ভালো রাখব।
‘সওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের গন্ধের চেয়েও উৎকৃষ্ট’ এর অর্থ এই নয়, আমরা রমযান মাসে মুখ অপরিচ্ছন্ন রাখব। বরং সেহরি খাওয়ার পর ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার আগে আমরা ভালোভাবে মুখ পরিচ্ছন্ন করব। সারাদিন সুযোগ মত মিসওয়াক করব। এর পরেও যে গন্ধ মুখ থেকে বের হবে সেটাই হল রোজাদারের মুখের আসল গন্ধ।
‘প্রত্যেক নেক কাজের পরিমাণ দশগুণ’ রমযান মাসে তাই বেশি বেশি নেক কাজ করব।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম / আরআর