ফয়জুল আল আমীন : মাহে রমজানে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী, পর্যটক এবং উমরা পালনকারীদের যথাযথ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পবিত্র মক্কা নগরীকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। আগতদের যথাযথ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কিছু পরিকল্পনায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মক্কা মোয়াজ্জমার মেয়র ওসামা আল বার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, কেন্দ্রীয় সব বিভাগসহ সাব-মিউনিসিপ্যালিটির চলমান কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব ও কাজ সচিবালয়কে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে স্ব স্ব উদ্যোগে কাজের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। মূলত কাজের গতি বাড়াতে, বিশেষ করে পবিত্র কাবা শরিফ ঘিরে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কেন্দ্র, দোকানপাটসহ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের মত প্রচ- ভিড় ও জন সমাগমপূর্ণ এলাকায় যথাযথ সেবা বাড়াতে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘উমরা পালনকারীদের থাকার জায়গা এবং তাদের চলাচলের জন্য উত্তম ব্যবস্থা, তাদের খাদ্য-পণ্যের নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, সার্বক্ষণিকভাবে নির্মাণ বর্জ্য সামগ্রী অপসারণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং কাজের মান নিয়ন্ত্রণ এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।’
এছাড়া কাবা শরিফের চারপাশের ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ, পশু জবাইখানার পরিচ্ছন্নতা এবং সড়ক বাতি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা এই পরিকল্পনার আওতাভূক্ত। প্রায় সাড়ে আট শতাধিক পরিচ্ছন্ন যন্ত্রপাতি এবং সর্বমোট ১১ হাজার ৮শ’ ২৫ জন কর্মী এই পবিত্র মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় রাত-দিন ২৪ ঘন্টা কাজে নিয়োজিত থাকবে। মক্কাবাসীদের মশা-মাছিসহ ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, সহগ্রাধিক হালকা যন্ত্রপাতি এবং নয় শতাধিক কারিগরি দক্ষ লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র।
প্রায় সাড়ে আট শতাধিক পরিচ্ছন্ন যন্ত্রপাতি এবং সর্বমোট ১১ হাজার ৮শ’ ২৫ জন কর্মী এই পবিত্র মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় রাত-দিন ২৪ ঘন্টা কাজে নিয়োজিত থাকবে।
চব্বিশ ঘন্টাব্যাপী কার্যক্রম চালাতে পুরো টিমকে সকাল এবং সান্ধ্যকালীন দু’টি পৃথক শিফটে ভাগ করে দায়িত্ব পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য খাদ্যমান ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ রক্ষায় বাণিজ্যিক কেন্দ্রসমূহ পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাঠ-কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও মক্কার মেয়র জানান। মক্কার মেয়র বলেন, ‘সৌদি বাদশাহর বিশেষ নির্দেশে এসব কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। বিশেষ করে মক্কা শরিফের নির্মাণ কাজে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বার বার মহড়া দেওয়া অভিজ্ঞ কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
-আরব নিউজ অবলম্বনে
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এআর