প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, পত্রিকা শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা নিউজপ্রিন্টের ওপর কোনো আমদানি কর থাকা উচিত নয়। কারণ এ কাঁচামাল পত্রিকা হিসেবে বিক্রি হওয়ার আগে মুদ্রণ, সংযোজন, মিশ্রণ ও কাটিংয়ের মাধ্যমে বড় ধরনের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সংবাদপত্রের জন্য নিউজপ্রিণ্ট আমদানিতে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। আমরা এই ভ্যাট অব্যাহতি চাই।
মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপন বিল প্রদানের সময় ৪ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কেটে রাখছেন। কিন্তু পরে এআইটি চালান সংগ্রহ করা খুব কষ্টদায়ক হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এআইটি এর অর্থ যথা সময়ে জমা না দেওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। তাই এআইটির বিকল্প পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব করছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান নিউজপ্রিন্ট বরাদ্দ পত্রে দুই মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। এতে করে অনেক হয়রানি শিকার হতে হয়। তাই এ ক্ষেত্রে দুই মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে শুধু তথ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাক্ষরে অনুমোদন হওয়ার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানান তিনি।
প্রাক বাজেট আলোচনায় সংবাদপত্রের অন্যান্য কাঁচামাল কালি, প্লেট, প্রিন্টিং ক্যামিকেল আমদানি পর্যায়ে নির্ধারিত হারে যে শুল্ক দিতে হয় তা মওকুফ করার দাবিও জানান নোয়াব সভাপতি।
এ সময় ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বাজেট আলোচনায় এনবিআর সদস্য (শুল্কনীতি) ফরিদ উদ্দিন, সদস্য (ভ্যাট নীতি) ব্যরিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রধান বাজেট সমন্বয়ক আকবর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।