জিয়াউদ্দিন সাইমুম : ব্লগগুলোতে কথায় কথায়, মন্তব্যে, প্রতিমন্তব্যে আমাদের দিন কাটে। বিকাল গড়ায়, সন্ধে হয়, রাত নামে। আবার সকালে কর্ণফুলির পুবপাশের পাহাড়গুলোর ফাঁক দিয়ে রাঙ্গামুখো সূর্যটা ওঠে। আমরা কবিতার কথা, বাজেটের কথা, বন্যার কথা, মুদ্রাস্ফীতির কথা, নাসিম ওসমানের কথা, পত্রিকার ফার্স্ট লীড, সেকেন্ড লীড আর বটম লীডের কথা বলি।
সবচেয়ে বেশি বলি পরচর্চার কথা। আবার যা বলি, তাতে আমাদের বিশ্বাস থাকে না!!!!
আসলে পৃথিবীর ভূগোলের একটা স্বীকৃত মাপকাঠি থাকলেও কথার প্রকারভেদের কোন মাপকাঠি নেই।
ইষ্টকথা, তত্ত্বকথা, দশকথা, মর্মকথা, মোটকথা, সুকথা, অজানা কথা, অনুক্ত কথা, অনুচিত কথা, অতি গোপন কথা, অদ্ভুত কথা, অপ্রিয় কথা, অযৌক্তিক কথা, একটানা কথা, আন্দাজি কথা, কথার মতো কথা, খোনা কথা, গা-জোরি কথা, গায়েবি কথা, ঘুমজুড়ানো কথা, চাট্টিখানি কথা, চ্যাটাং-চ্যাটাং কথা, ছোটমুখে বড় কথা, টানা টানা কথা, ঠেস মারা কথা, ড্যামনা কথা, তেরছা কথা, দশ কথার এক কথা, না-হক কথা, ন্যাকা-ন্যাকা কথা, পষ্টাপষ্টি কথা, প্রাইভেট কথা, ফুটানি মারা কথা, বাতেনি কথা, বে-আন্দাজি কথা, ভাবের কথা, মস্তবড় কথা, মুখ-ফসকা কথা, মোদ্দা কথা, যার-তার কথা, রঙ্গ-তামাশার কথা, লম্বা-চওড়া কথা, শানানো কথা, সাফসাফা কথা, হক না হক কথাসহ ইত্যাকার হাজার রকমের কথা থাকলেও তার ফিরিস্তি দেয়া সম্ভব নয়। আবার উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট হলেও মানুষ তুষ্ট হয় না।
দুর্জনেরা বলেন, পুরুষরা কোনো কথা নাকি এক কান দিয়ে শোনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়। আর নারী নাকি দুই কান দিয়ে সমানে শোনে আর বের করে দেয় মুখ দিয়ে!!!
কে জানে বাবা! হতেও পারে। তবে আমি কিন্তু এসব জানি না!!!