ডেস্ক রিপোর্ট : উৎকণ্ঠা শব্দটার সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। কারণে-অকারণে উৎকণ্ঠার শিকার আমাদের মধ্যে অনেকেই। ওষুধ খেয়ে, চিকিৎসা করিয়েও উৎকণ্ঠার সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ। উৎকণ্ঠা কাটাতে অনেকেই ওষুধের সাহায্য নেন। এতে উৎকণ্ঠার স্থায়ী সমাধান তো হয়ই না, বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়। আবার দীর্ঘদিন ধরে উৎকণ্ঠার ওষুধ খেলে অবসাদ, স্মৃতিশক্তি কমে আসার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে উৎকণ্ঠা কাটাতে সুগন্ধী তেজপাতার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ। অনেক সময় উৎকণ্ঠায় ভুগলেও আমরা বুঝতে পারি না। জেনে নিন উৎকণ্ঠার কারণে ঠিক কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার : কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজের উপস্থিতি নিয়ে অত্যধিক সচেতনতা সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের লক্ষণ।
বিশেষ কিছুর ফোবিয়া : কোনও বিশেষ পশু, বিশেষ পরিস্থিতি বা বিশেষ ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক।
জেনারেল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার : কোনো কারণ ছাড়াও সব সময় চাপা টেনশন, চিন্তা এর লক্ষণ।
প্যানিক ডিজঅর্ডার : কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ অত্যধিক ভয় পেয়ে যাওয়া।
মশলা হিসেবে যেমন তেজপাতার ব্যবহার দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে, তেমনই ওষুধ হিসেবেও এর ব্যবহার বহু কাল ধরেই চলে আসছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন তেজপাতার মধ্যে থাকা উপাদান লিনালুল শুঁকলে তা উৎকণ্ঠা কাটাতে সাহায্য করে। অ্যারোমাথেরাপি সেশনে ব্যবহার করা হয় এই লিনালুল শোঁকার প্রক্রিয়া। দেখা গিয়েছে এর ফলে আগ্রাসী আচরণ কমে গিয়ে সামাজিক ব্যবহারে পরিবর্তন আসে।
বাড়িতেই কী ভাবে করবেন জেনে নিন-
ঘরে একটা ছোট ফায়ার রেজিসট্যান্ট বাটিতে এক টুকরো চারকোল গরম করুন। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ১০টা তেজপাতা পোড়াতে থাকুন। এ বারে দরজা বন্ধ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পর ঘরে ফিরে আসুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই ঘরে কাটালেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। উৎকণ্ঠা কেটে গিয়ে রিল্যাক্সড অনুভব করবেন।