আলেজেরিয়ায় আগামী বছর পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদের উদ্বোধন হবে। নির্মিতব্য মসজিদটির ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মসজিদের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। দেশটির সমূদ্র উপকূলে অবস্থিত মসজিদটির নাম হবে আলজেরিয়া গ্র্যান্ড মসজিদ। নতুন এ মসজিদ নির্মাণে ১৪০ কোটি ডলার ব্যয় হবে।
মসজিদটি আলজেরিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আবদুল আজিজ বুতাফিকারের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। মসজিদটি আলজেরিয়ার গৃহায়ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে এবং মসজিদের নির্মাণ কাজ এ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত।
দ্য দাজমা আল দাজাজায়ের নামে ওই মসজিদ চত্বরে ১০ লাখ বইয়ের একটি গ্রন্থাগার থাকবে। কোরআন শিক্ষার একটি মাদ্রাসা থাকবে। তা ছাড়া ইসলামি সংস্কৃতি ও ইতিহাসবিষয়ক একটি জাদুঘর থাকবে।
মসজিদে ৮৭৪ ফুট উঁচু মিনার তৈরি করা হবে। আলজেরীয় সরকারের দাবি, এটি হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনার। একই সঙ্গে এখানে ২০ হাজার বর্গমিটারের মসজিদে একসঙ্গে এক লাখ ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে ১৯৯০ সাল থেকে সরকার ও ইসলামপন্থীদের মধ্যে সঙ্ঘাত চলছে। এতে প্রায় দুই লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। মসজিদটির নির্মাণকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আহমদ মাদানি বলেন, এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলমানদের আকৃষ্ট করবে।
মাদানি বলেন, ১৯৬২ সালে মসজিদটি নির্মাণকাজের চিন্তা তার মাথায় আসে। ওই বছরই ফ্রান্স থেকে স্বাধীন হয়েছিল আলজেরিয়া। মাদানি বলেন, মুসলিম সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনস্ক বুতাফিকা ক্ষমতাসীন থাকায় মসজিদ নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে। মাদানি বলেন, নতুন এই মসজিদ মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন হয়ে উঠবে।
২০১২ সালের মে মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করা মসজিদটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদের খ্যাতি লাভ করবে। মসজিদটি সৌর বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হবে।
উল্লেখ্য আলজেরিয়ার জামে মসজিদটি মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর পর তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। জার্মানের প্রকৌশলী ‘ইউরগান এঙ্গেল’ আলজেরিয়ার সর্ববৃহৎ মসজিদটির ডিজাইন করেছেন।
আরআর/ওএস