সারাদেশের অনুষ্ঠানে, পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায় থাকবে প্রাণের চাঞ্চল্য। আনন্দঘণ এ উৎসব ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালিকে দেবে সুন্দর আগামীর পথের নতুন প্রেরণা। সব অপশক্তিকে রুখে দেয়ার সাহসও পাবে বাঙালি নববর্ষের প্রথম এ দিনে।
নববর্ষে বদলে যাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের দৃশ্যপট। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলায় উৎসবমুখর হয়ে উঠবে নগরী। অনান্যবারের মতো ভোর সোয়া ছ’টায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পিদের ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ সুরে শুরু হবে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা। বটমূল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমন্ডির লেকের পাড়, সংসদ ভবন চত্বর, শেরেবাংলা নগর, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়িসহ রাজধানি ঢাকার নানাস্থানে পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে চলছে অনুষ্ঠান। ভোর থেকে মহানগরীর পথে পথে আনন্দ পিয়াসী নগরবাসীর ঢল। সবার পরনে বৈশাখী রং লাল-সাদার পাশাপাশি নানা রংয়ের বাহারি নকশার পোশাক।
বাংলা ১৪২২ সালকে বিদায় এবং নববর্ষ ১৪২৩ বরণে অনুষ্ঠান চলছে তিন পার্বত্য জেলায়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতিবছরের মতো এবছরও বর্ণিল আয়োজনে পুরনো বর্ষকে বিদায় এবং নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছে।
নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোতেও রয়েছে নববর্ষ উপলক্ষে খাবারের নানা আয়োজন। উচ্চ দামে ঘরে-বাইরে পান্তা-ইলিশের আয়োজনে রয়েছে কিছুটা ভাটা। ইলিশের অতি মূল্যের সংবাদে নববর্ষের আয়োজনে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তবে রমনাসহ আশপাশের হোটেল-রেস্টুরেন্টে রয়েছে পান্তা-ইলিশের আয়োজন।
নববর্ষের এ আয়োজন বাংলাদেশে এখন আর সীমাবদ্ধ নেই। সার্বজনিন এ উৎসবে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দেশে থাকা বাঙালিরা।