হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য এই মন্ত্রীর শাস্তির দাবিতে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া।
তিনি বলেন, “তাকে (লতিফ সিদ্দিকী) ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে কি না, এ ব্যাপারে সরকারের বক্তব্য আমরা জানতে চাই।”
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে মন্তব্যের পর থেকে তুমুল সমালোচনায় রয়েছেন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লতিফ সিদ্দিকী।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দল থেকেও তাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের দায় একমাত্র তারই বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও বিএনপি নেতা রফিক মনে করেন, এক্ষেত্রে দায় এড়াতে পারে না সরকারও।
“আইনের দৃষ্টিতে সরকারের কালেক্টিভ রেসপনসিবিলিটি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের যে কোনও বক্তব্যের দায় মন্ত্রিসভাকে বহন করতে হবে। একে কোনওভাবে পাশ কাটানো যাবে না।”
এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করে রফিকুল বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে জনগণের অনুভূতির পক্ষে কথা বলেবেন। কিন্তু তিনি জনগণকে আশাহত করেছেন। কারণ সরকারই এর বিচার চায় না।”
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, “মন্ত্রীরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিদেশে যান। আর হজে যারা যান, তারা নিজের উপার্জিত অর্থে যান। তাই হজ নিয়ে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।”
লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্য দেওয়ার পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে বলে রফিকুলের সন্দেহ।
“লতিফ সিদ্দিকী এই বক্তব্য কেন দিলেন, তা বুঝতে হবে। আমরা শুনতে পাই- ইসরাইলের মোসাদ না কি এই অঞ্চলে জঙ্গিবাদের গন্ধ পাচ্ছে। প্রচারণা চালানো হচ্ছে এই অঞ্চলে ইসলামী ঘাঁটি হচ্ছে।”
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ‘র সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে রফিকুল ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, শাহিদুর রহমান তামান্না প্রমুখ।