সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ।। ৩ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৭ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
কচুয়ায় শাজুলিয়া ইমাম-উলামা পরিষদের আলোচনা সভা ও ঈদ উপহার বিতরণ  ‘স্বৈরাচারী সরকারের সবচাইতে বেশি নির্যাতনের শিকার হেফাজতে ইসলাম’ কবে দিচ্ছে কওমি শিক্ষাবোর্ড বেফাকের রেজাল্ট ? ‘শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে’ ইফতা-আদবসহ সকল বিভাগে ভর্তির সুযোগ শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে   আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস শিক্ষাবোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত বেরোবি মসজিদের খতিবের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন জার্মানি থেকে হজের জন্য সাইকেলযাত্রা ‘মুসলমানদের নিরাপত্তা প্রদানে ভারতের ব্যর্থতা সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক’ ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

‘মুসলমানদের নিরাপত্তা প্রদানে ভারতের ব্যর্থতা সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ সাম্প্রতিক হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে ভারতে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মুসলমানদের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি ভারতের অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত। ভারত স্বাধীন করতে উলামায়ে কেরাম ও মুসলমানদের অবদান ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। সেই ভারতে বিজেপি শাসনামলে যেভাবে মুসলমানদেরকে সহিংসতার লক্ষবস্তুতে পরিনত করা হয়েছে তা সভ্যতার এই উৎকর্ষের কালে কল্পনাও করা যায় না।

নামাজের মতো একটি একান্ত ও প্রাত্যহিক ইবাদতও এখন ভারতে আদায় করা যায় না। প্রায়শই নামাজরত মুসলমানদের ওপরে হামলার সংবাদ পাওয়া যায়। সংখ্যালঘু মুসলমানদের সাথে ভারতের এই আচরণ সভ্যতার জন্য কলংকজনক।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব সাম্প্রতিক হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মসজিদে নামাজ পড়তে বাঁধা দেয়া এবং নামাজ পড়ে বাসায় যাওয়ার সময় মুসলমানদের ওপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ভারতকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে।

তিনি বলেন, ভারতের মুসলিমরাই শুধু নয় বরং ভারতে খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও পাহাড়ি জনতাও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সহিংসতার শিকার, যার বিস্তার ঘটিয়েছে শাসক গোষ্ঠি বিজেপি। বিজেপি যেভাবে ধর্মকে সহিংসতার উপলক্ষ বানিয়েছে, হিন্দু ধর্মমতেও তা সিদ্ধ না। এজন্য  ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের বিজেপির সহিংসতার নিন্দা করা উচিৎ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব গর্বের সাথে উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে হিন্দু আর মুসলমান মিলে-মিশে একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে হিন্দুদের উৎসবে মুসলমানরা অনুকুল পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে আর মুসলমানদের ইবাদতে হিন্দুরা সহযোগীতামূলক আচরন করছে। এভাবেই আসলে সভ্যতা টিকে থাকে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ