সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ।। ৩ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৭ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
কচুয়ায় শাজুলিয়া ইমাম-উলামা পরিষদের আলোচনা সভা ও ঈদ উপহার বিতরণ  ‘স্বৈরাচারী সরকারের সবচাইতে বেশি নির্যাতনের শিকার হেফাজতে ইসলাম’ কবে দিচ্ছে কওমি শিক্ষাবোর্ড বেফাকের রেজাল্ট ? ‘শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে’ ইফতা-আদবসহ সকল বিভাগে ভর্তির সুযোগ শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে   আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস শিক্ষাবোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত বেরোবি মসজিদের খতিবের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন জার্মানি থেকে হজের জন্য সাইকেলযাত্রা ‘মুসলমানদের নিরাপত্তা প্রদানে ভারতের ব্যর্থতা সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক’ ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

মুসলিমদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ভারত: হেফাজতে ইসলাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতে এবার হোলি উৎসব পালনকালে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের নির্যাতন চালানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

রবিবার (১৬ মার্চ) রাত ৮টায় সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, ভারতজুড়ে এবার রমজান মাসে হিন্দুদের হোলি উৎসবকালে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর চরম নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। ত্রিপল দিয়ে অসংখ্য মসজিদ ঢেকে দিয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। শুধু তা-ই নয়, উত্তরপ্রদেশে হোলির সময় ‘শান্তি রক্ষা’র নামে হাজারের ওপর নিরপরাধ মুসলিমকে নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা রোজাদার মুসলমানদের যেখানে পাচ্ছে সেখানেই অত্যাচার করছে।

পুলিশ-প্রশাসনের সামনেই তারা কোথাও কোথাও মসজিদের গেইট ভেঙে ঢুকে পড়েছে। এমনকি হোলির রং মাখতে না চাওয়ায় মসজিদ গমনকারী একজন রোজাদার মুসলিমকে পিটিয়ে শহিদ করেছে হিন্দুত্ববাদী মব। ভারতে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে মাৎসন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করেছে হিন্দুত্ববাদী গেরুয়াধারীরা!    

তারা আরও বলেন, নিজ দেশের সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভারত নির্লজ্জের মতো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। আমরা মোদি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, সংখ্যালঘু মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে ব্যর্থ হলে অচিরেই ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। ইতিহাস সাক্ষী— পৃথিবীর কোথাও জালিম সম্প্রদায়ের রাজত্ব বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।

তারা বলেন, জাতিসংঘ-প্রণীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের বেশ কয়েকটি ধারার চরম লঙ্ঘন ঘটছে ভারতে। সেদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘু মুসলমানদের পাশে দাঁড়াতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারকেও জোরাল ভাষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।

পৃথিবীর যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটুক, সেটার প্রতিবাদ করা আমাদের ঈমানি ও মানবিক দায়িত্ব। এছাড়া ভারতে ক্রমাগতভাবে সংখ্যালঘু মুসলমানদের মানবাধিকার দলনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকেও আমরা একযোগে সরব হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

নারনা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ