সমকামিতার মত জঘন্য অপরাধকে স্বাভাবিকীকরণের কোন প্রচেষ্টাকেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী। পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান এই জঘন্য, অশ্লীল পাপাচারকে মানুষের অধিকার নাম দিয়ে এটার প্রচার-প্রসার ও স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ায় জড়িত তাদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ ইসলামের অনুসারী। ইসলামে সমকামিতা শুধু হারামই নয় বরং এটি অভিশপ্ত অপরাধ। এই অপরাধের কারণে আল্লাহ তাআলা কাওমে লুত তথা লুত আলাইহিস সালামের অপরাধী জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এটি মানুষের বংশধারা, পরিবার প্রথার জন্যও হুমকি। লিঙ্গ সমতা, বৈচিত্র, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ইত্যাদি মুখরোচক শব্দের আড়ালে এই জঘন্য পাপাচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা ও দেশি-বিদেশী এনজিও। দেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি পত্রিকা এই অশ্লীল কাজটিকে স্বাভাবিকীকরণের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অত্যন্ত পরিচিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভিডিও বানিয়ে এটিকে স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য বলে প্রচার করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দেশ, সমাজ, সভ্যতা ও ইসলামবিরোধী অপতৎরতা বন্ধ না হলে দেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, সমকামিতাকে স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ায় কারা কারা জড়িত তা বের করে তাদেরকে নিবৃত্ত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কোন মহলের চাপে সরকার যেন এই বিষয়ে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয় সেজন্যও সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
আরএইচ/