বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে জাতিকে বিভক্ত করে মুখোমুখি করে রাখা হয়েছিল। বলা হয়েছিল একদল স্বাধীনতার পক্ষে আর একদল স্বাধীনতার বিপক্ষে। পক্ষের যে দলটি স্লোগান দিয়ে মানুষকে শোষণ করেছিল, তারা কার্যত অন্য দেশের হাতে দেশকে ইজারা দিয়ে রেখেছিল।’
সোমবার রাত ৯ টায় রংপুরের পাগলাপীরে স্থানীয় জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। পথসভায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এই দেশে মুসলমান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এই চারটি ধর্মের মানুষের পাশাপাশি অন্য জাতের মানুষ পারস্পারিক সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি, হিংসা বিদ্বেষ নেই বললেই চলে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের পূর্বপুরুষরা রেখে গেছেন। কিন্তু ওই দলটি মুক্তিযুদ্ধের নামে পক্ষে-বিপক্ষে নয়, বরং শুধু ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু বলে আখ্যায়িত করে ৭২ এর ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে চার বছরের বেশী টিকতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ৭২ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংখ্যালঘু বলে মায়া কান্না করে তাদের জায়গা জমি দখল করে অন্যায়ভাবে তারাই তাদের সম্পদের ওপর হাত দিয়েছে, তাদের ইজ্জতের ওপর হাত দিয়েছে।
অথচ তারা মায়া কান্না করে আর দোষটা চাপায় এদেশের দেশপ্রেমিক মানুষ বিশেষ করে যারা নিষ্ঠাবান মুসলমান, তাদের ওপর।
তিনি আরো বলেন, ‘একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যেভাবে মর্যাদা থাকার দরকার, অধিকার থাকার দরকার সেভাবে পাননি। যেভাবে একটা সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠার কথা ছিল, যেভাবে অর্থনীতি মজবুত হবার কথা ছিল তা হয়নি।’
হাআমা/