ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর রাজনৈতিক কারণে গণভবনসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি,বাড়ি ও দোকান পাটে বিচ্ছিন্নভাবে হামলার ঘটনা ঘটে। দেশের কিছু কিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরেও রাজনৈতিক কারণে হামলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিষয়টি সামনে এনে একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। বাংলাদেশে মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সহ সকল জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শত শত বছর যাবত সহাবস্থান করে আসছে। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে তাদের প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। তারা আর কখনো সফল হবে না।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৩টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে যুব ও ছাত্র জমিয়তের কর্মীসহ নিহত সকল শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশিরুল হাসান খাদিমানীর পরিচালনায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।
বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মুফতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি মাওলানা শিব্বির আহমদ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি নুরুল আলম ইসহাকী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবুল বাশার ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী প্রমুখ।
নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে বিশেষ দোয়া করা হয়।
নেতৃবৃন্দ নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদেরকে সুচিকিৎসার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
কেএল/