সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জামায়াতের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে, শত্রুতা নয়: মাওলানা ফজলুর রহমান মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: খেলাফত মজলিস

‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সে সম্পর্কে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নারী অধিকার আন্দোলন। সোমবার (২১ এপ্রিল) সংগঠনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতির ওপর ভিত্তি করে নারী সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ প্রণয়ন করেছে। সুপারিশকৃত এই রিপোর্টের কিছু অংশ ইতিবাচক হলেও কিছু বিষয় বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সমাজের প্রত‍্যাশার সাথে সাংঘর্ষিক। এটাকে নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করে সংগঠনটি। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এখনো CEDAW সনদের ধারা ২ ও ১৬ (১)গ, সংরক্ষিত রেখেছে; যেখানে বিবাহ, তালাকসহ পারিবারিক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের পূর্ণ সমতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই কমিশন সেই সংরক্ষণ প্র‍ত‍্যহারের সুপারিশ করেছে, যা অপ্রয়োজনীয় এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান সূচক। বরং সিডও সনদে স্বাক্ষরকালে যেভাবে এই সংরক্ষণ রাখা হয়েছিল, সেটি বজায় রেখেই এর বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো উচিত ছিল।

নারী অধিকার আন্দোলন জানায়, এই সুপারিশে সংবিধানে পরিবর্তন এনে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চয়তাসহ অভিন্ন পারিবারিক আইন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন, অভিভাবক ও প্রতিপাল‍্য আইন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন, ধর্ষন আইন, নাগরিকত্ব আইন, সাক্ষী সুরক্ষা আইনে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করছি, এইসব সুপারিশমালা কোরআন মাজিদের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের ওপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। যৌন কর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, যা নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর। 

বিবৃতিতে বলা হয়, এজন‍্য নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সংস্কার সবার আগে জরুরি। বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে এমন নারীদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করে তারপর সংস্কার প্রস্তাব আনা দরকার ।

আমরা আরও লক্ষ্য করেছি যে, এই নারী সংস্কার কমিশনে মুষ্টিমেয় সমাজ বিচ্ছিন্ন নারী তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছে, যা সমাজের বৃহত্তর নারীদের কোনোভাবেই প্রতিনিধিত্ব করে না।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সুপারিশ হলো— দেশের মূলধারার নারীদের প্রতিনিধিত্বে একটি নতুন কমিশন গঠন করে এই প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হোক, যাতে করে এটি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ