শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কওমি সনদ বাস্তবায়ন সেমিনার থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা ও ২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন চান মুফতী ফয়জুল করীম কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান হোক: সেমিনারে বক্তারা ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন’ হবিগঞ্জে মহানবী সা.কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

ফেসবুকে মাওলানা আবু তাহের মিসবাহর অসুস্থতার খবর, যা বলছে পরিবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

|| হাবিব মুহাম্মাদ ||

আজ হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গবেষক ও শিক্ষাবিদ আলেমেদ্বীন, মাদানী নেসাবের প্রবর্তক মাওলানা আবু তাহের মিসবাহর প্রচণ্ড অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বলা হয় তিনি আজ হঠাৎ করে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেজন্য পোস্টগুলোতে দোয়াও চাওয়া হয়।

তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় মাওলানা আবু তাহের মিসবাহর বড় জামাতা মাওলানা হাবিবুর রহমান মুনির নদভীর সঙ্গে। 

তিনি আওয়ার ইসলামকে জানান, হুজুরের হার্টে রিং বসানোর পর থেকে মাঝে মাঝেই অসুস্থতাবোধ করেন। কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার কারণে সুস্বাস্থ্যের নীতিমালা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। ফলে প্রায়ই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এছাড়া মাঝে মাঝে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা দেখা দেয়। তবে সম্প্রতি তার বড় ধরনের তেমন কোনো অসুস্থতা দেখা দেয়নি। তিনি অন্যান্য সময়ের মতোই স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, আদিব হুজুর খ্যাত মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ একজন নিভৃতচারী আলেম। একাধারে তিনি শিক্ষক, লেখক, গবেষক, সাহিত্যিক। মাদানি নেসাবের (একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা কারুকুলাম) প্রবর্তকও তিনি। বর্তমান ওলামা ও তলাবাদের অনেকের কাছে তিনি কিংবদন্তি। সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী অসংখ্য বই তিনি রচনা করেছেন।

মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ ১৯৫৬ সালের ৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মিছবাহুল হক। পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লায় হলেও তিনি বড় হন ঢাকায়। জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় পড়ার পর ১৯৭৭ সালে তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে তিনি জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় প্রায় ২৫ বছর শিক্ষকতা করেন। তখন থেকে তিনি মাদানি নেসাবের জন্য পরীক্ষামূলক পাঠ্যবই রচনা শুরু করেন। ১৯৯২ সালে তার চিন্তাধারার আলোকে আবদুল হাই পাহাড়পুরীর তত্ত্বাবধানে তিনি মাদরাসাতুল মদিনা প্রতিষ্ঠা করেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ