শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কওমি সনদ বাস্তবায়ন সেমিনার থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা ও ২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন চান মুফতী ফয়জুল করীম কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান হোক: সেমিনারে বক্তারা ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন’ হবিগঞ্জে মহানবী সা.কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

অপ্রয়োজনীয় সিজার : নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালা অনুসারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে রায়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালাটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রায় দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে কঠোর ভাবে নীতিমালাটি মানতে হবে। আর এই নীতিমালায় অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের কথা বলা আছে। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সিজারের ক্ষেত্রে সকল তথ্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে একটি নীতিমালা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের জন্য ২০১৯ সালের ৩০ জুন নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর নীতিমালা করে হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়।

আইনজীবী রাশনা ইমাম বলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এর মতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি সিজার পদ্ধতি কোনো দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটি প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এছাড়া এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ শতাংশ। এটি আসলে এলার্মিং রাইজ, এ রেটটার বৃদ্ধি থামানোর জন্যই জনস্বার্থে মামলাটি আনা হয়। রাশনা ইমাম বলেন, গ্রামে-গঞ্জে যে প্রাইভেট হাসপাতাল আছে সেগুলো কোনো ধরনের সরকারি মনিটরিং ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সিজারিয়ান সেকশন করে যাচ্ছে। এটা থেকে অনেকের অমানবিক মৃত্যুও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে জনস্বার্থে রিটটি করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট।

এম আই/

 

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ