শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম 

হামলার পর  মসজিদে গিয়ে মুসলিমদের যে প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রুডো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মসজিদে গিয়ে মুসলিমদের সঙ্গে দেখা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপর সেখানে গিয়ে মুসলিমদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। কানাডার উইনপেগে একটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে হামলার পর তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক্সে নিজের একাউন্টে এক পোস্টে ট্রুডো বলেন, সম্প্রতি উইনপেগের একটি মসজিদে হামলা হয়েছে। এ ঘটনা পুরো সম্প্রদায়কে নাড়া দিয়েছে। আমি মুসলিম কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা তাদের নিরাপত্তা রক্ষা ও ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। ইবাদতে কাউকে ভয় পেতে হবে না।

সংবাদমাধ্যম কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (সিবিসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে উইনপেগের ওয়েস্ট এন্ডের একটি সমজিদে ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছে। পবিত্র রমজানে এমন ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকরা ভীত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এলিস অ্যাভিনিউ মসজিদ, জামেয়া মসজিদ আবু বকর আল-সিদ্দিক এবং কমিউনিটি সেন্টারে এ হামলারে ঘটনা ঘটে। এসময় মসজিত প্রাঙ্গণে দুই ব্যক্তি অস্ত্রসহ প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে মসজিদের স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের আটকে দেন। এরপর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় পুলিশের প্রধান জেনসন মিশালিসেন বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া এ সময়ে মসজিদ থেকে কিছু চুরি হয়নি। তবে ঘটনার পর থেকে সেখানকার মুসলিমরা বেশ উদ্বিগ্ন। পবিত্র রমজানে মুসলিমরা রোজা পালন করেন এবং বেশিরভাগ সময় ইবাদতে মগ্ন হয়ে সময় কাটান।

কেন্দ্রের পরিচালক আদনান সিদ্দিকী জানান, ঘটনার পর থেকে মসজিদে ইফতারে অনেক কম লোক হাজির হচ্ছেন। মানুষ সত্যিই ভীত। অনেকে বাড়িতে নামাজ আদায় করছেন।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা সশস্ত্র ছিলেন। একটি বিস্ফোরণের মতো কিছুর বিকট আওয়াজ পেয়ে তারা বাইরে ঘটনা দেখতে আসেন। এ সময় দেখেন যে দুই ব্যক্তির কাছে কুড়াল ও বড় ছুরি রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা জেনসন মিশালিসেন জানান, মসজিদে হামলা ধর্মীয় কারণে হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। আমরা বিষয়টির প্রতি অবশ্যই সংবেদনশীল। আমরা ধর্মীয় স্থানকে অবশ্যই সর্ম্পূর্ণভাবে সম্মান করি।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ