ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নতুন দু’টি যুদ্ধজাহাজে দেশে তৈরি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য স্যাম ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে।
আইআরজিসি’র নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলীরেজা তাংসিরি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বুধবার ইরানের এক নম্বর টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার বাহিনীতে সম্প্রতি শহীদ সাইয়্যাদ শিরাজি ও শহীদ হাসান বাকেরি নামক দু’টি যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হয়েছে।
১৯৮০’র দশকে ইরাকের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার কারণে যুদ্ধজাহাজগুলোর জন্য শিরাজি ও বাকেরির নাম বেছে নেওয়া হয়।
অ্যাডমিরাল তাংসির জানান, দু’টি যুদ্ধজাহাজেই ছয়টি করে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য সাইয়্যাদ-৩ ক্ষেপণাস্ত্র, ১৬টি করে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৭৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লার ছয়টি করে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে। এসব যুদ্ধজাহাজের রাডার ব্যবস্থা ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে সক্ষম।
আইআরজিসি’র নৌপ্রধান আরও জানান, দু’টি যুদ্ধজাহাজের দৈর্ঘ্য ৬৮ মিটার, প্রস্থ ১৮.৫ মিটার ও উচ্চতা ১৪ মিটার।
তিনি বলেন, রণতরীগুলোর কাঠামো অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে; ফলে এগুলো যুদ্ধের সময় কখনও ডুবে যাবে না বা এগুলোর গতি ব্যাহত হবে না। এ ধরনের রণতরী তৈরি করার ক্ষেত্রে ইরান বিশ্বে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে বলে তিনি জানান। সূত্র: প্রেসটিভি
এনএ/