বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক আরো মধুর করার মধ্য দিয়ে অভিআসী সমাজের অধিকার সুরক্ষা এবং দেশে দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরব থাকার সংকল্পে নিউইয়র্কে ‘নিউ আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব’র বর্ণাঢ্য এক সমাবেশ হলো।
১৩ জানুয়ারি কংগ্রেসওম্যান, স্টেট সিনেটর, স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান, সিটি কাউন্সিলম্যান, সিটি কম্পট্রোলার, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিস্ট লিডারসহ ডজন দেড়েক নির্বাচিত প্রতিনিধিও ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ সমাবেশে।
দেড় দশক আগে মোর্শেদ আলমের প্রতিষ্ঠিত ‘নিউ আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব’ এর সাথে যুক্ত হয়েছে ‘নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম’ এবং ‘নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম। অর্থাৎ মূলধারায় সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী সকল বয়সী প্রবাসী এই তিন সংগঠনের মধ্য দিয়ে বিশেষ এক স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, স্টেট সিনেটর জন ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান যোহরান মামদানী, স্টিভেন রাগা এবং গ্রেস লী, সিটি কম্প্রটোলার জুমানি, সিটি কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এটর্নী মঈন চৌধুরী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সামনের জাতীয় নির্বাচনে সকলকে সরব হবার আহ্বান জানান। ইসরায়েলির বর্বরতার নিন্দা ও প্রতিবাদও উচ্চারিত হয় এ সময়।
বক্তারা উল্লেখ করেন, বহুজাতিক এ সমাজে বাংলাদেশিরাও এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। নিজেদের মধ্যেকার ঐক্যের বন্ধন আরো দৃঢ় করতে পারলে সামনের দিনগুলোতে প্রশাসনেও বাংলাদেশিদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে বাধ্য সকল পর্যায়ের নীতি-নির্দ্ধারণে। নূসরাত আলম, আহনাফ আলম, অসীম সাহা এবং পলের উপস্থাপনায় এ সমাবেশ শুরু হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে। ছিল মনোমুগ্ধকর নাচ আর গানেরও আয়োজন। কম্যুনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শনকারী বেশ কয়েকজনের মাঝে এ সময় সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
মূলধারার রাজনীতিতে প্রবাসীদের অন্যতম পথিকৃত হাসান আলী, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ক্যাপ্টেন এ কে এম আলম-সহ কয়েকজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং।
এ সময় আয়োজক তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দকেও মঞ্চে আহ্বান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয়ী টানা চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষ থেকে মার্কিন মুল্লুকের জনপ্রতিনিধিদের কাছে শুভেচ্ছা প্রদান করেন। কন্সাল জেনারেল আশা পোষণ করেন যে, অতীতের ন্যায় সামনের দিনগুলোতেও বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণে প্রবাসীরা নিরলসভাবে অবদান রেখে যাবেন।
এনএ/