বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ।। ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে সিগারেট খেতে না করা সেই রিংকুকে গ্রেফতার ‘অপরাধের সাম্প্রতিক ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত শক্তির রাজনীতি ক্রিয়াশীল' একদিনে ২৯ হাজার কুরআনের কপি বিতরণ সৌদি আরবের ‘দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’

উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকর: মুসলিমদের উদ্বেগ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

শোয়াইব আস-সফাদী :  ভারতের বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ধর্মীয় আইনের স্থলে একক দেওয়ানি বিধান চালু করা হয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, এই আইন সমাজে "সমতা" আনবে এবং “কুপ্রথা দূর করবে”। তবে মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে এটি তীব্র অস্বস্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

আইনটি বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার ও লিভ-ইন সম্পর্ক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অভিন্ন বিধান নিশ্চিত করতে প্রণীত হয়েছে। আইনের সমর্থকরা বলছেন, এটি মুসলিম নারীদের বহুবিবাহ থেকে রক্ষা করবে এবং তাদের জন্য সমান সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটি হিন্দু পিতৃতান্ত্রিক রীতিনীতি চ্যালেঞ্জ করে না এবং মুসলিম ব্যক্তিগত আইনকে অসমভাবে প্রভাবিত করছে।

মুসলিম নেতারা এই আইনের সমালোচনা করে একে "হিন্দু কোড" আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, এটি তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাত। জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ ও অন্যান্য সংগঠন এই আইনের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে।

অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসমা জেহরা বলেছেন, "এই আইন ইসলামোফোবিয়ার একটি প্রকাশ এবং আমাদের ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর আক্রমণ।"

আইনটি লিভ-ইন সম্পর্ক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। এর লঙ্ঘনকারীদের তিন মাসের জেল বা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী গীতা লুথরা বলেছেন, "এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকারের পরিপন্থী।"
গোয়া বাদে উত্তরাখণ্ড হলো ভারতের দ্বিতীয় রাজ্য যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকর হয়েছে। এই উদ্যোগ বিজেপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য হলেও, এর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রভাব নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।
সূত্র: আলজাজিরা

হুআ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ