আধুনিক যুগে স্মার্টফোন মানুষের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ এই প্রযুক্তির প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা ভারসাম্য ও সংযম শেখায়। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সচেতনতা ও পরিমিতি অপরিহার্য।
- সময় ও আমানত:
- আল্লাহ্ তায়ালা কুরআনে ইরশাদ করেন, "সময়ের কসম, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিতে রয়েছে" (সূরা আসর, আয়াত ১-২)।
- স্মার্টফোন যদি সময় অপচয়ের কারণ হয়, তবে সেটি একজন মুমিনের জন্য আত্মসমালোচনার বিষয়।
- চোখ ও আত্মার পবিত্রতা:
- কুরআনে বলা হয়েছে, “মুমিনদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে” (সূরা নূর, আয়াত ৩০)।
- সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে অনৈতিক কনটেন্ট দেখার প্রবণতা অনেক তরুণকে নৈতিকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে।
- ইলম চর্চার সুযোগ:
- স্মার্টফোনের মাধ্যমে কুরআন, হাদীস, ইসলামিক লেকচার, দোয়া ইত্যাদি জানা অনেক সহজ হয়েছে।
- যারা এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে, তারা প্রযুক্তিকে দ্বীনি ইলমের বাহন বানাচ্ছে – যা প্রশংসনীয়।
- আসক্তি ও গাফলত:
- প্রতিনিয়ত ফোনে সময় কাটানো ব্যক্তি ধীরে ধীরে সালাত, কুরআন তিলাওয়াত ও তাফাক্কুর থেকে দূরে সরে যায়। এটি এক ধরণের "গাফেল হওয়া"।
- রাসুল (সা.) বলেন, “দুনিয়া অভিশপ্ত; এর সবকিছুই অভিশপ্ত, কিন্তু আল্লাহর যিকর, যিকরের সাথী, আলেম ও তালিবুল ইলম ছাড়া” (তিরমিজি)।
স্মার্টফোন একদিকে যেমন উপকারের মাধ্যম হতে পারে, তেমনি অপকারের কারণও হতে পারে যদি এর ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিত ও ইসলামবিরোধী হয়। তরুণ সমাজের উচিত, এই প্রযুক্তিকে ইবাদত, ইলম চর্চা ও কল্যাণের কাজে ব্যবহার করা। সময়, দৃষ্টি ও মন – সবকিছু যেন ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, এটাই কাম্য।
এনএইচ/