বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ৯ মাঘ ১৪৩১ ।। ২৩ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল পয়ামে ইনসানিয়াতের জাতীয় দাওয়াহ সম্মেলন অভিভাবকদের পরিশ্রম শিক্ষার্থীকে সফল করে তোলে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বই হবে শুরায়ী নেজামের তত্ত্বাবধানে ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে: নির্বাচন কমিশনার ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল বিনিয়োগ করছে সৌদি সরকার জয়কে হত্যাচেষ্টার মামলায় খালাস চেয়ে মাহমুদুর রহমানের আপিলের রায় ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে বিতর্কিত করলে জনগণ আবার বঞ্চিত হবে: ফখরুল বিনা মূল্যে বিতরণের দুই ট্রাক বই খোলাবাজারে জব্দ দুই প্রস্তাব বাস্তবায়নের অপেক্ষায় ইসি মাঘের শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, দেখা নেই সূর্যের

সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ফজিলত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের একটি বিশেষ গুণ হলো তারা রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সুন্নতের প্রতি দুর্বল। তাই যত কষ্টই হোক তারা বিশেষ দিনের সুন্নত পালনে তৎপর হয়ে ওঠেন। আর প্রিয়নবী (স.) বৃহস্পতিবারে বিশেষ কিছু নফল ইবাদতে মনোযোগী হতেন। এর মধ্যে প্রধান আমলটি হলো রোজা।

রাবিআ ইবনুল গাজ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়শা (রা.)-এর কাছে রাসুল (স.)-এর রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। তখন তিনি জবাবে বলেন, রাসুল (স.) সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখার ব্যাপারে খুবই মনোযোগী ছিলেন। (ইবনে মাজাহ: ১৭৩৯, ইবনে হিব্বান: ৩৬৪৩)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে আমল উপস্থাপন করা হয়। তাই আমি রোজা থাকা অবস্থায় আমার আমল উপস্থাপন করা হোক—এটা পছন্দ করি। (তিরমিজি: ৭৪৭, সুনানে নাসায়ি: ২৬৬৭)

ফজিলত: হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম, তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম: ২৭৬০)

রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তাআলা জাহান্নামকে তার থেকে ১০০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন।  (আস সিলসিলাতুস সহিহাহ: খণ্ড-৬, হাদিস: ২৫৬৫)

এ প্রসঙ্গে হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তাআলা তার এবং জাহান্নামের মাঝে আসমান ও জমিনের দূরত্ব সমপরিমাণ খন্দক তৈরি করে দেবেন।’ (আস সিলসিলাতুস সহিহাহ: খণ্ড-২, হাদিস: ৫৬৩)

রোজা এবং কোরআন কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা আল্লাহ তাআলাকে বলবে, হে আমার রব! আমি তাকে আহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত রেখেছিলাম সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে রেখেছিলাম, এজন্য তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। রাসুল (স.) বলেন, তখন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। (আহমদ: খণ্ড-২, হাদিস নম্বর: ১৭৪)

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, নিশ্চয় জান্নাতের রাইয়ান নামের একটি দরজা আছে, কেয়ামতের দিন সেখান দিয়ে রোজাদাররা প্রবেশ করবে। (বুখারি: ১৮৯৬, মুসলিম: ১১৫২)

আর রোজা অবস্থায় কেউ মারা গেলে তাঁর জান্নাত নিশ্চিত। কেননা রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)

রোজা যেহেতু আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম, তাই ফরজ রোজা ছাড়াও প্রিয়নবী (স.) ঘোষিত বিশেষ দিনে যেমন বৃহস্পতিবার রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে এগিয়ে আসা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদেরই বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর প্রিয় বান্দাদের তালিকায় শামিল করুন। বৃহস্পতিবার ও সোমবার রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ