মোহাম্মাদ হুজাইফা
কুরআনে ব্যতিক্রমী কিছু আয়াত আছে যেগুলো পাঠ করলে সিজদা করা আবশ্যক হয়। এমন আয়াত পুরো কুরআনে ১৪টি। সিজদায়ে তেলাওয়াত নিয়ে কিছু প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে উঁকিঝুকি দেয়। প্রশ্নের উত্তরগুলো সাবলীলভাবে তুলে ধরছি।
সিজদা কার উপর আবশ্যক
যার উপর নামায ফরয, তার উপর সিজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হয়। ঘুম অথবা মাতাল অবস্থায় তেলাওয়াত করলেও সিজদা ওয়াজিব হয়। কাফের, পাগল, শিশু, হায়েজ-নেফাসগ্রস্ত মহিলার উপর ওয়াজিব হয় না।
সিজদার আয়াত পাঠকারী ও শ্রবনকারী উভয়ের উপর সিজদা ওয়াজিব হবে। তবে রেকর্ডকৃত তেলাওয়াত শুনলে ওয়াজিব হবে না।কোনো স্থানে বসে বা দাঁড়িয়ে এক আয়াত বার বার তেলাওয়াত করলে একবার সিজদা করলেই যথেষ্ঠ হবে। স্থান পরিবর্তন করলে একাধিকবার সিজদা ওয়াজিব হবে।
সিজদা করার পদ্ধতি
দাঁড়িয়ে হাত না উঠিয়ে তাকবীর বলে সিজদায় যেতে হবে। নামাযের সিজদার মত একটি সিজদা করবে। অতপর তাকবীর বলে উঠে যাবে। সিজদায় سبحان ربي الاعلى (সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা) এই তাসবীহ তিনবার পড়বে। সিজদার পর অন্য কোনো দোয়া বা সালাম ফেরাতে হবে না।
নামাজের ভেতর সিজদায়ে তেলাওয়াত আদায়ের নিয়ম
আয়াত তিলাওয়াতের পর তাকবির বলে সিজদা আদায় করবে এবং উঠে আরো কয়েক আয়াত তিলাওয়াত করে রুকুতে যাবে। তবে কেউ যদি সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে সরাসরি রুকুতে চলে যায় এবং নামাজের সিজদার সঙ্গে তিলাওয়াতে সিজদারও নিয়ত করে ফেলে, তাহলে তা আদায় হয়ে যাবে।
সিজদার শর্তাবলি
নামাযের জন্য যে শর্ত সিজদার জন্যও তা-ই শর্ত করা হয়েছে। যে কারণে নামায ভেঙে যায় সে কারণেই তেলাওয়াতে সিজদাও নষ্ট হয়। যেমন কথা বললে, জোরে হাসি দিলে, ইচ্ছা করে অন্য কোনো কাজ করলে ইত্যাদি। সিজদা নষ্ট হলে পুনরায় আদায় করতে হবে।
সিজদা কখন আদায় করতে হবে
তেলাওয়াতে সিজদার জন্য সময় নির্ধারিত নেই। যখন পাঠ করবে তখনই সিজদা করে নেওয়া উত্তম। পরে করলেও কোনো অসুবিধা নেই। তবে আদায় করে নিতে হবে।
ফাতাওয়ায়ে হিনদিয়া, (১/১৯২-১৯৬)