বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন যে কারণে পড়া হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কোরআন শরিফে সুরা আল-বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতের শেষ অংশে রয়েছে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এর অর্থ: (তারাই ধৈর্যশীল) যারা তাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে, ‘আমরা তো আল্লাহরই আর নিশ্চিতভাবে আমরা তারই দিকে ফিরে যাবো।’

কারো মৃত্যুসংবাদ শুনলে এটা পড়া হয়ে থাকে। অনেকে মনে করেন, মানুষের মৃত্যুসংবাদ পেলে এটা পড়তে হয়। বিষয়টি এমন নয়। বরং ইন্না লিল্লাহ পড়ার অনেক কারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে।

এই আয়াতের আগের অংশে ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দেওয়ার কথা বলা আছে। আর ধৈর্যশীলরা বিপদে পড়লে এটা পড়ে। অর্থাৎ যেকোনো বিপদ-আপদ এলেই আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করতে হবে। ভাবতে হবে একদিন তো আমাকে আল্লাহ তায়ালার কাছেই ফিরে যেতে হবে। তাহলে এই দুনিয়ার মায়া-মহব্বত ও ভোগ বিলাসের জন্য কেন এত কান্নাকাটি করছি।

সুরা আল-বাকারার ১৫৫ থেকে ১৫৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে (কাউকে) ভয় ও ক্ষুধা দিয়ে, আর (কাউকে) ধনে-প্রাণে বা ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে পরীক্ষা করবো। আর যারা ধৈর্য ধরে, তাদের তুমি সুখবর দাও। (তারাই ধৈর্যশীল) যারা তাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ অর্থাৎ আমরা তো আল্লাহ তায়ালার জন্যে আর নিশ্চিতভাবে আমরা তারই দিকে ফিরে যাবো।’ এসব লোকের প্রতি তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে আশীর্বাদ ও দয়া বর্ষিত হয়, আর এরাই সৎ পথপ্রাপ্ত।

হজরত উম্মে সালামা রা. বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, কোনো মুসলিমের ওপর বিপদ এলে যদি সে বলে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন (অর্থাৎ আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তারই কাছে ফিরে যাবো) এবং এই দোয়া পড়ে, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা ইল্লা আখলাফাল্ল হুলাহ খয়রাম মিনহা (অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাকে আমার মুসিবতে সওয়াব দান করো এবং এর বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করো) তবে মহান আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করে থাকেন।

আল্লাহ তায়ালা প্রতি যারা বিশ্বাস রাখে তারা বিপদে পড়লে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়েন। কেউ বিপদে পড়লে যেন এ দোয়াটি পাঠ করে। একাধারে যেমন সওয়াব পাওয়া যায়, তেমনই অর্থের প্রতি লক্ষ রেখে পাঠ করা হয়, তবে বিপদের মধ্যেও শান্তি লাভ করবে এবং বিপদ থেকে উত্তরণও সহজ হয়ে যায়।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ