বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নেককার স্ত্রী লাভের দোয়া ও আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষের নিঃসঙ্গতা ও একাকীত্ব দূর হয়। হাদিসে বিয়েকে ঈমানের পূর্ণতা বলা হয়েছে। সৃষ্টিগতভাবেই নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ। মহান আল্লাহ হজরত আদম আ. কে সৃষ্টি করার পর হজরত হাওয়া আ. কে তার জীবনসঙ্গি হিসেবে সৃষ্টি করেন। তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান।

পবিত্র কুরআনে হজরত মুসা আ.-এর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। সেখানে হজরত মুসা আ.-এর একটি দোয়াও এসেছে। যে দোয়া পড়ার পর মহান আল্লাহ তার জন্য থাকা-খাওয়া ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এসবের পাশাপাশি উত্তম জীবনসঙ্গির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। শিক্ষণীয় সেই দোয়াটি হলো-

رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير

উচ্চারণ: রব্বি ইন্নি লিমা আনযালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।

অর্থ: হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি তার মুখাপেক্ষী। (সুরা আল-কাসাস, আয়াত : ২৪)

মহান আল্লাহ চোখ শীতলকারী স্ত্রী ও সন্তানের জন্য পবিত্র কুরআনে বর্ণিত দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন।

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

উচ্চারণ: রব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়্যাতিনা কুররতা আইয়ুনিও ওয়াজআলনা লিল মুত্তাকীনা ইমামা।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন। (সুরা ফোরকান, আয়াত : ৭৪)

পুণ্যবতী স্ত্রী সম্পর্কে নবীজি যা বলেছেন

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পার্থিব জগতটাই হল ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম সম্পদ (উপভোগের বস্তু) পুণ্যবতী নারী। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪৬৭)

অন্য হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুমিনের জন্য আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের পর নেককার স্ত্রীর চেয়ে কল্যাণকর কিছু নেই। কারণ স্বামী তাকে আদেশ করলে সে আনুগত্য করে, তার দিকে দৃষ্টিপাত করলে সে (স্বামী) মুগ্ধ হয়। তাকে নিয়ে শপথ করলে সে তা পূরণ করে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজের (অন্যায়-অপকর্ম থেকে) এবং স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করে।’(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৮৫৭)

হজরত আলি রা. থেকে বর্ণিত, যখন এই আয়াতটি নাজিল হল-

যারা স্বর্ণ-রৌপ্য জমা করে এবং তা আল্লাহ রাস্তায় খরচ করে না, তাদেরকে কষ্টদায়ক মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দিন। (সুরা তাওবাহ, আয়াত: ৩৪)

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন বার বললেন, ‘স্বর্ণ-রূপার বিনাশ হোক’ কথাটি সাহাবায়ে কেরামের জন্য কিছুটা ভারী মনে হলো। তাই তারা জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আমরা কোন বস্তুকে সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করব? তখন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- জিকিরকারী জবান, শোকরকারী অন্তর, এবং এমন স্ত্রী যে তার স্বামীকে দ্বীনের কাজে সহযোগিতা করবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির ২/৫৪৮ (দারুল ফিকর)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ