শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন

বন্যার সময় যে দোয়া পড়বেন


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ পৃথিবীর স্বাভাবিক ঘটনা ও গতিপ্রকৃতির অংশ। প্রায় প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়। বন্যা এবং এ জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে দেশ, সমাজের প্রধানরা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। মানুষের জান-মাল রক্ষার চেষ্টা করে থাকেন।

বিপদ-আপদে ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানো সবার দায়িত্ব। তবে যারা সমাজ বা দেশের প্রধান এ বিষয়ে তাদের সবার আগে এগিয়ে আসা ও যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা জরুরি। সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে দায়িত্বশীলদের জনসাধারণের অসন্তোষে পড়তে হবে। এছাড়া পরকালে মহান রবের সামনে জবাবদিহিতা তো করতেই হবে।

বন্যা এবং এ জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অবশ্যই সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সজাগ থাকতে হবে। একইসঙ্গে আল্লাহর রাসূল সা.-এর বর্ণিত পন্থা অনুসরণ করে উত্তরণের চেষ্টা করতে হবে। রাসূল সা. ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা থেকে রক্ষা পেতে যেসব দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দিতে বলেছেন, তার ওপর আমল করা যেতে পারে।

এতে করে দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে রহমত প্রার্থনা করা হবে, যা সহজেই বিপদ থেকে রক্ষায় সহায়তা করবে। মানুষের চেষ্টা এবং আল্লাহর রহমত একত্রিত হলে বিপদ থেকে উদ্ধার সহজ।

এখানে একটি দোয়া উল্লেখ করা হলো যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবল বৃষ্টির সময় পড়তেন। দোয়াটি হলো—

اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا ولَا عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ علَى الآكَامِ والظِّرَابِ، وبُطُونِ الأوْدِيَةِ، ومَنَابِتِ الشَّجَرِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাওয়া-লাইনা, ওয়ালা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আ-কাম ওয়াজ জিরাব ওয়া বুতুনিল আওদিআ; ওয়া মানাবিতিস শাজার। (বুখারি, হাদিস : ১০১৪)

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের ওপরে নয়। হে আল্লাহ! পাহাড়-টিলা, খাল-নালা এবং গাছ-উদ্ভিদ গজানোর স্থানগুলোতে বৃষ্টি দিন। 

আরেক হাদিসে আয়েশা রা. বলেন, যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতো এবং ঝোড়ো বাতাস বইত—তখন রাসুল (সা.) এর চেহারায় চিন্তার রেখা ফুটে উঠত। এই অবস্থা দেখে তিনি এদিক-সেদিক পায়চারি করতে থাকতেন এবং এ দোয়া পড়তেন—

اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এ বৃষ্টির কল্যাণগুলো কামনা করছি, এই বৃষ্টিতে যেসব কল্যাণ রয়েছে সেগুলো কামনা করছি এবং এই বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর  আর এ বৃষ্টি ও বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত সব রকম অকল্যাণ ও বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণ চাই।’ (বুখারি, হাদিস : ৩২০৬; মুসলিম, হাদিস : ৮৯৯; তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৪৯

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ