বিপদ-আপদ কিংবা কল্যাণ কামনা- সব ক্ষেত্রেই মহান রাব্বুল আলামিন মুমিনের একমাত্র ভরসা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেন, তবে তোমাদের ওপর কেউ বিজয়ী হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের লাঞ্ছিত করেন, তবে কে এমন আছে যে তোমাদের এরপর সাহায্য করবে? আর আল্লাহর ওপরই যেন মুমিনগণ তাওয়াক্কুল করে’ (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ১৬০)।
অপর আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, তবে আল্লাহও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে দেবেন’ (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৭)।
নবীজির হাদিস অনুযায়ী কিছু বান্দাকে সাহায্য করা আল্লাহর জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়। তারা কারা?
তাদের পরিচয় দিয়ে রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন-
ثَلاَثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمُ الْمُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ الْعَفَافَ
‘তিন ব্যক্তি এমন যাদের সাহায্য করা আল্লাহ নিজের কর্তব্য বলে নির্ধারণ করে নিয়েছেন, ১. আল্লাহর পথে মুজাহিদ ২. যে মুকাতাব (আজাদি চুক্তিবদ্ধ গোলাম) মুক্তিপণ আদায়ের ইচ্ছা রাখে, ৩. বিয়ে করতে ইচ্ছুক যে পবিত্রতা রক্ষা করতে চায়। (তিরমিজি: ১৬৬১)
উল্লেখিত হাদিস অনুযায়ী, প্রিয়নবী সা. তিন ধরণের আমলে বান্দাকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য করে নিয়েছেন।
> যারা আল্লাহর বিধানগুলোকে পৃথিবীতে বাস্তবায়ন করার জন্য বাতিলের সঙ্গে প্রাণন্তকর প্রচেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
> যে ব্যক্তি রক্তমূল্য আদায় করে মুক্তি পেতে চায়।
> চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষায় যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর সাহায্য ও রহমতের চাদরে আস্বাদিত রাখুন। আমিন
এনএ/