আল্লাহ তায়ালা নিজের বান্দাদের অনেককে দিয়েছেন ধন-সম্পদ ও অর্থ প্রাচুর্য। আবার কিছু মানুষকে করেছেন নিম্নবিত্ত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যদি আল্লাহ তার বান্দাদের রিজিক প্রশস্ত করে দিতেন, তবে তারা জমিনে অবশ্যই সীমালঙ্ঘন করত; কিন্তু তিনি তার ইচ্ছেমত পরিমাণেই নাজিল করে থাকেন। নিশ্চয় তিনি তার বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক অবহিত ও সর্বদ্ৰষ্টা।’ -(সুরা শূরা, আয়াত, ২৭)
‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮২৯)।
মহানবী সা. উম্মতদের অনেক দোয়া শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটি দোয়া এমন, যেটির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বরকত দান করেন।
উপার্জনে বরকতের দোয়া-
اللهم اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عن حَرَامِكَ ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
‘আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিক, ওয়াগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’
অর্থ: হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করুন। আর আপনাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করবেন না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করুন। (তিরমিজি: ৩৫৬৩; মুসনাদ আহমদ: ১৩২১)
উপার্জনে বরকতের আমল-
রিজিকে বরকতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো- তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা। আল্লাহ তাআলা মুত্তাকিদের রিজিকের পথ বের করে দেন। এ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ বের করে দেবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দেবেন।’ (সুরা তালাক: ২-৩)
হাফেজ ইবনে কাসির রহ. এর তাফসিরে বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশাবলী পালন করে এবং তার নিষিদ্ধ কার্যাবলী থেকে বিরত থেকে তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য সব বিপদাপদ থেকে মুক্ত হওয়ার পথ করে দেবেন এবং যেখান থেকে সে রিজিক লাভ করার কথা স্বপ্নেও চিন্তা করে না; সেখান থেকে তাকে রিজিক দেবেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৪/৪০০)
এছাড়াও দান-সদকা মানুষের জীবনে বরকত নিয়ে আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি খরচ করো, তোমার জন্য খরচ করা হবে (অর্থাৎ প্রাচুর্য আসবে)।’ (সহিহ বুখারি: ৫৩৫২)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উপার্জনে বরকত দান করুন।
এনএ/