নামাজে হাই এলে যথাসাধ্য তা দমন করার চেষ্টা করতে হবে। একান্তই দমন করা সম্ভব না হলে হাত বাঁধা অবস্থায় হাই এলে ডান হাতের পিঠ মুখের ওপর রাখবে। এছাড়া অন্য অবস্থায় বাম হাতে পিঠ রাখবে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, নামাজে হাই শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। সুতরাং কারও যদি হাই আসে তবে সে যেন তা যথাসম্ভব দমন করে। (সুনানে তিরমিজি: ৩৭০)
আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, নামাজের মধ্যে তোমাদের কারো হাই আসে, তবে সে যেন যথা সম্ভব তা রোধ করে। কারণ শয়তান এ সময় মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। (সহিহ মুসলিম: ৭২২৩)
নামাজ ছাড়া অন্য সময়ও ইচ্ছাকৃত হাই তোলা ভালো নয়। হাই যথাসম্ভব দমন করার চেষ্টা করা উচিত।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা হাঁচি ভালবাসেন, আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। তাই তোমাদের কেউ যখন হাঁচি দেবে এবং ’আলহামদুলিল্লাহ’ পড়বে তখন প্রত্যেক মুসলিম শ্রোতার উচিত হবে তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা। হাই শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। কারো যখন হাই আসে, তখন সে যেন যথাসাধ্য তা রোধ করে। যখন তোমাদের কেউ হাই তোলে, তখন শয়তান তা দেখে হাসে। (সহিহ বুখারি: ৬২২৩)
এনএ/