রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

যে আমল আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

একজন সন্তান সামর্থ্যবান হওয়ার পর তার প্রধান দায়িত্ব হলো মা-বাবার প্রতি যত্ন নেওয়া, তাদের দেখভাল করা। যে সন্তান সামর্থ্যবান হওয়ার পর মায়ের ভরণ-পোষণের ব্যাপারে গুরুত্ব দেবে, তার ব্যাপারে হাদিসে ফজিলতের কথা এসেছে।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, আমি নবী সা. জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কোন কাজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়?’ নবী সা. বলেন, সময়মতো নামাজ আদায় করা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এরপর কোন আমল?’ তিনি বলেন, মা-বাবার সেবা করা।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এরপর কোন আমল?’ তিনি বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭)
ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে সন্তান যদি সামর্থ্যবান হয় এবং মা-বাবা যদি গরিব হয়, তাহলে তাঁদের জন্য খরচ করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব। (আল মুগনি ১১/৩৭৫)

আর যদি পিতামাতা সচ্ছল হয় কিংবা সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান না হয়, তাহলে মা-বাবার ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে উত্তম হলো, কষ্ট হলেও যথাসাধ্য মা-বাবারও ভরণ-পোষণের খরচ চালিয়ে যাওয়া।
(তাবঈনুল হাকায়েক ৩/৬৪; রদ্দুল মুহতার ২/৬৭৮)

সুতরাং মা-বাবার প্রতি বিবাহিত নারীর করণীয় হলো :

১. সব সময় মা-বাবার সঙ্গে সদাচারণ এবং তাঁদের যথাসাধ্য খেদমত করবে। তাঁদের খোঁজখবর নেবে।

২. নিজস্ব অর্থ যেমন মোহরানা বাবদ প্রাপ্ত, উপার্জিত সম্পদ ইত্যাদি থেকে যথাসাধ্য মা-বাবার জন্য খরচ করবে।

৩. নিজের সামর্থ্য না থাকলে এবং মা-বাবার একান্ত প্রয়োজন হলে ঘরোয়া পরিবেশে শিক্ষকতা করে বা কোনো হস্তশিল্প কিংবা হাঁস-মুরগি পালন করে নিজের উপার্জন থেকেও সহযোগিতা করা যায়।

ইসলামের সীমারেখা মেনে বৈধ পেশা থেকে উপার্জন করে মা-বাবার জন্য কিছু করা যায়।
৪. স্বামীকে মহব্বতের সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ