রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

কুরআন শরিফের কসম করা যাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন: আমি একবার আমার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় যাই। সেখানে তার সঙ্গে একটি বিষয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমি কুরআন শরিফ হাতে নিয়ে বলি, আমি কুরআন শরিফের কসম করে বলছি আর কখনো তোর বাসায় আসব না। পরে তার সঙ্গে রাগ মিটে যায়। এখন জানতে চাচ্ছি, আমার উক্ত কথার দ্বারা কি কসম হয়ে গেছে? এখন যদি আমি তার বাসায় যাই তা হলে কি আমাকে কাফফারা দিতে হবে?
-জসিম উদ্দীন ভোলা

উত্তর : কুরআন শরিফের কসম করে কোনো কাজের প্রতিজ্ঞা করলে কসম সংঘটিত হয়ে যায়। তাই আপনি যদি এখন আপনার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় যান তা হলে আপনার কসম ভেঙে যাবে এবং এর কারণে আপনাকে কাফফারা দিতে হবে। কসমের কাফফারা হলো, দশজন গরিবকে দুবেলা তৃপ্তিসহ খাবার খাওয়ানো অথবা তাদের বস্ত্র দান করা।

যদি এমন আর্থিক সামর্থ্য না থাকে তা হলে ধারাবাহিকভাবে তিন দিন রোজা রাখা। উল্লেখ্য, কোনো বৈধ কাজ করবে না বলে কসম করার পর যদি ওই কাজটি করাই কল্যাণকর সাব্যস্ত হয়, তা হলে ওই কাজটি করে কসমের কাফফারা দিয়ে দেওয়াই উত্তম।

হাদিস শরিফে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘কেউ যদি কোনো বিষয়ে কসম করে অতঃপর এর বিপরীত করার মধ্যে কল্যাণ দেখতে পায় তা হলে সে যেন ওই কল্যাণকর কাজটিই করে এবং কসমের কাফফারা দিয়ে দেয়’ (মুসলিম : ১৬৫০)।

উল্লেখ্য, কুরআন শরিফের কসম দ্বারা যদিও কসম সংঘটিত হয় তবু কুরআন শরিফের কসম করা জায়েজ নয়। কসম কেবল আল্লাহর নামেই করা যায়। তাই ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া কর্তব্য। আর বর্তমান কসমের কারণে ইস্তিগফার করতে হবে। (ফাতহুল কাদির : ৪/৩৫৬; আলবাহরুর রায়েক : ৪/২৮৬; আদ্দুররুল মুখতার : ৩/৭১২)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ