সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: খেলাফত মজলিস সরাসরি ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা

খাওয়ার সময় কি সালাম দেওয়া যাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

খাওয়ার সময় সালাম দেওয়া বা সালামের উত্তর দেওয়া নাজায়েজ নয়। খাবার খেতে থাকা ব্যক্তির জন্য অন্যকে সালাম দেওয়া জায়েজ, অন্যের জন্যও তাকে সালাম দেওয়া জায়েজ। তবে এ সময় সালাম দেওয়া যদি তার কষ্ট বা বিরক্তির কারণ হয়, তাহলে সালাম দেওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় হবে।

ইসলামে সালাম অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল সা. বেশি বেশি সালাম দিতে উৎসাহিত করে বলেছেন সালাম মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ ও ভালোবাসা বাড়ায়।

নবিজি সা. বলেন, সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা মুমিন না হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না আর পরস্পরে সৌহার্দ ও ভালোবাসা না রেখে তোমরা মুমিন হতে পারবে না। আমি তোমাদের এমন কাজের কথা বলছি যা তোমাদের পারস্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধি করবে, নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি সালাম দাও। (সহিহ মুসলিম: ২০৩)

তবে কিছু অবস্থায় সালাম দেওয়া অপছন্দনীয় ও নিষিদ্ধ। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রা. বলেন, এক ব্যাক্তি একবার নবিজিকে সা. প্রশ্রাবরত অবস্থায় সালাম দিলো। নবিজি প্রয়োজন পূরণ শেষ করে অজু করার পর তার সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেন, আমাকে এ অবস্থায় দেখতে পেলে সালাম দিও না। এ অবস্থায় আমি তো তোমার সালামের উত্তর দিতে পারবো না। (সুনান ইবনে মাজা: ৩/৩৫২)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায় প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করছে এমন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া যাবে না। ইসলামি আইন বিশারদগণ এ রকম আরও কিছু অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন, যাদেরকে সালাম দেওয়া অপছন্দনীয় ও মাকরুহ:

 

১. যে অজু-গোসল করছে বা গোসলখানায় অবস্থান করছে, তাকে সালাম দেওয়া মাকরুহ।

 

২. যে খাবার খাচ্ছে, তাকে সালাম দেওয়া মাকরুহ।

 

৩. কুরআন তিলাওয়াত বা আল্লাহর জিকির করছে এমন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া মাকরুহ।

 

৪. যে ব্যক্তি তাওয়াফ করছে ও তালবিয়া পড়ছে, তাকে সালাম দেওয়া মাকরুহ।

 

৫. কোথাও কুরআন, হাদিস বা দীনি ইলমের ক্লাস, আলোচনা ‍চলতে থাকলে সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের সালাম দেওয়া মাকরূহ।

 

৬. খুতবা বা ওয়াজের মজলিসেও ওয়াজকারী ও শ্রোতাদের সালাম দেওয়া মাকরুহ।

 

৭. আজান ও ইকামতের সময় মুআজ্জিনকে সালাম দেওয়া মাকরুহ।

 

৮. প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের সময় কাউকে সালাম দেওয়া মাকরুহ।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ