এ উপমহাদেশে কারও কারও নাম শোনা যায় আব্দুল কালাম। এর অর্থ হয় কথা বা বক্তব্যের দাস বা বান্দা। এটি কারও নাম হওয়া উচিত নয়।
আবদ শব্দের অর্থ হচ্ছে বান্দা বা দাস। আমরা একমাত্র আল্লাহর বান্দা। তাই আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর সাথে আবদ শব্দ যোগ করে নাম রাখা ঠিক নয়। সাহাবীদের মধ্যে কারও কারও এজাতীয় নাম ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নাম পরিবর্তন করে দিয়েছেন।
এক সাহাবীর নাম ছিল আব্দুল হাজার (পাথরের বান্দা)। নবীজী শুনলেন— তাকে আব্দুল হাজার বলে ডাকা হচ্ছে। তাকে ডেকে বললেন, তোমার নাম কী? সে বলল, আব্দুল হাজার। তখন নবীজী বললেন, বরং তুমি আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা)। —আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৮১১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ২৫৯০১
প্রসিদ্ধ সাহাবী আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রা.-র নাম ছিল, আবদে আমর (আমরের বান্দা)। কোনো কোনো বর্ণনায় রয়েছে, তাঁর নাম ছিল, আব্দুল কা‘বা (কা‘বার বান্দা)। ইসলাম গ্রহণের পর নবীজী তাঁর এ নাম পরিবর্তন করে রাখলেন, আবদুর রহমান (রহমানের বান্দা-আল্লাহর বান্দা)। —মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৭৩১, ৫৩৩৫; মুজামে কাবীর, তবারানী, হাদীস ২৫৩, ২৫৪ হাঁ, আবুল কালাম নাম হতে পারে। যার অর্থ হয়— বাগ্মিতা বা বাক্পটু। সূত্র : মাসিক আল কাউসার।
এমআই/