ঈমান বড় এক দৌলত। এ দৌলতের মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর প্রিয় পাত্রে পরিণত হয়। এই জন্য রাব্বুল আলামীন তার প্রতিটা কর্মের মূল্যায়ন করেন। মুমিনের কোনো আমলই বৃথা যাবে না। আল্লাহ রাব্বুল বলেন-
সুতরাং তাদের প্রতিপালক তাদের দু‘আ কবুল করলেন এবং (বললেন,) আমি তোমাদের মধ্যে কোন আমলকারীর কর্মফল নষ্ট করব না, সে পুরুষ হোক বা নারী। তোমরা পরস্পরে একই রকম। সুতরাং যারা হিজরত করেছে এবং তাদেরকে নিজেদের ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, আমার পথে উৎপীড়ন করা হয়েছে এবং (দীনের জন্য) তারা যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে, আমি অবশ্যই তাদের সকলের থেকে তাদের দোষ-ত্রুটি মিটিয়ে দেব এবং তাদেরকে অবশ্যই এমন সব উদ্যানে দাখিল করব, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত থাকবে। (এসব কিছু) আল্লাহর পক্ষ হতে পুরস্কারস্বরূপ হবে। বস্তুত আল্লাহরই কাছে আছে উৎকৃষ্ট পুরস্কার।
বান্দার আমলের প্রতিদান দেওয়ার অঙ্গিকার আল্লাহ করেছেন। তবে বান্দা যদি কখনো শুধু নিয়ত করে, কিন্তু কোনো কারণে আমলটি করতে সক্ষম হয়নি, তখনও আল্লাহ সওয়াব থেকে বঞ্চিত করেন না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এতই মহান, বান্দার অন্তরের পরিশুদ্ধ নিয়তের কারনেও সওয়াব দান করবেন। এমন একটি আমল হল তাহাজ্জুদের নিয়ত করে রাতে ঘুমিয়ে যাওয়া, কেউ যদি এই নিয়তে ঘুমিয়ে যায়, সব চেষ্টা সত্ত্বেও উঠতে না পারে, আল্লাহ তার নিয়তের কারণে আমল নামায় তাহাজ্জুদের সওয়াব দান করবেন।
এ সম্পর্কে প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বর্ণনা-
হযরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার নিয়তে বিছানায় আসে। কিন্তু তার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা প্রবল হয়ে যাওয়ায় ভোর পর্যন্ত সে ঘুমিয়ে থাকে, তার জন্য তার নিয়ত অনুসারে সাওয়াব লিখা হবে, আর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তার নিদ্রা তার জন্য সদকাস্বরূপ হয়ে যাবে। নাসায়ী শরীফ- ১৭৯০।
এ আমলটি একজন মুমিন বান্দা সহজেই করতে পারে। আল্লাহ আমাদেরকে আমলটি করার তাওফিক দান করুন।
এমআই/