|| মুহাম্মদ বেলাল হুসাইন ||
রাতের ইবাদত মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বরাবরই পছন্দনীয় এবং গ্রহনযোগ্য। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের একটা বড় অংশ ইবাদতে কাটাতেন। রাতে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের সাক্ষ্য দিয়ে দোয়া ও রোনাজারি করলে ওই দোয়া আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কবুল করেন।
হাদীস শরীফে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়।’ ( সহীহ বুখারী)
দোয়াটি হলো-
لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ - سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ، وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر - وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা
কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
অনুবাদ : আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব কেবল তাঁরই। সকল প্রশংসাও তাঁর এবং তিনিই সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। মহা পবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা, নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত।
অতপর বলবে-
‘রাব্বিগফিরলি’ অর্থাৎ হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।
আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলমানকে রাত জেগে ইবাদত ও দোয়া-কান্নাকাটির ভেতর দিয়ে তাঁর নৈকট্য হাসিল করবার এবং তাঁর প্রিয় বান্দা হয়ে ওঠবার তাওফিক দান করুন। আমিন ।
কেএল/