মুফতি আরিফুল ইসলাম
রোগ–ব্যাধি সবারই কম বেশী হয়।কেউ আল্লাহর কাছে রোগ চেয়ে আনে না। সবাই সবসময় সুস্থ থাকতে চায়। আল্লাহপাক মুমিনকে রোগ দেন তাকে ভালোবেসে। পরীক্ষাস্বরূপ। জান্নাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চান আল্লাহ। সে এখন জান্নাতের মেহমান। প্রভূর এ প্রিয়পাত্রের সেবা করতে একাদিক হাদীসে উদ্ভূদ্ধ করা হয়েছে।
রোগীর সেবার পুরস্কার
১. হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন-যে ব্যক্তি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় কোন রোগীকে দেখতে যায় অথবা নিজের ভাইয়ের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে যায়, একজন ঘোষক তখন ঘোষণা দিয়ে বলতে থাকে কল্যাণময় তোমার জীবন, কল্যাণময় তোমার এই পথ চলাও। তুমি তো জান্নাতে একটি বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলে। তিরমিযজী শরীফ – ২০০৮
২. হযরত সাওবান রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন রোগীর সেবা-শুশ্রুষা করতে থাকে সে ফিরে আসা পর্যন্ত বেহেশতের ফলবাগানে অবস্থান করতে থাকে। মুসলিম শরীফ-৬৪৪৬
সেবা পাওয়া অসুস্থ ব্যক্তির অধিকার। সামর্থ্য ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যদি রোগীর প্রতি অবহেলা করা হয়, তবে কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। প্রিয় নবীজি সা. বলেছেন- এক মুসলমানের প্রতি অপর মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হলো- কেউ অসুস্থ হলে তার সেবা করা। মুসলিম শরীফ-২১৬২
অসুস্থ ব্যক্তিকে অবহলে না করে তার সেবায় মনোযোগী হওয় উচিত। এসেবার মাধ্যমে একদিকে ঈমানী দায়িত্বও পালনহবে। অপরদিকে রোগীর মুখে হাসি ফুটিয়ে লাভ করবো অফুরন্ত নেয়ামত জান্নাত।
এমআই/