শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ৬ পৌষ ১৪৩১ ।। ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬


জোলানির সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এক সময়ের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর প্রধান নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেছে উচ্চ-পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর, দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আগেই ঘোষণা করেছেন, এইচটিএসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যোগাযোগ করেছে।  এইচটিএস এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মডার্ন ডিপ্লোমেসি।

শারার নেতৃত্বে যা দুই সপ্তাহেরও কম আগে বাশার আল-আসাদের শাসনকে পতন করে। বিদ্রোহী জোটের প্রভাবশালী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতা পূর্বে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, মার্কিন কূটনীতিকরা সিরিয়ার জনগণের সাথে সরাসরি জড়িত থাকবেন।  দেশের ভবিষ্যতের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহায়তা করতে পারে এ নিয়ে কাজ করবে।

মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শীর্ষ কূটনীতিক বারবারা লিফ, প্রেসিডেন্টের বন্দি বিষয়ক দূত রজার কারস্টেন্স এবং সিরিয়া সংশ্লিষ্ট সিনিয়র উপদেষ্টা ড্যানিয়েল রুবিনস্টেইন। আসাদ সরকারের পতনের পর এটিই প্রথম কোনও মার্কিন প্রতিনিধিদলের দামেস্ক সফর।

সিরিয়ার স্থানীয় নিউজ আউটলেট আল-ওয়াতান অনলাইন জানিয়েছে, বৈঠকে সিরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রশমন এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের তালিকা থেকে এইচটিএসের সম্ভাব্য অপসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

 এইচটিএস একসময় সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার সঙ্গে জড়িত ছিল।  তবে এখন গোষ্ঠীটি বলছে, তারা এখন নিজেদের বদলে ফেলেছে এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চায়। তাদের মূল লক্ষ্য এখন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানের আদলে সিরিয়াকে গড়ে তোলার সম্ভাবনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন (এইচটিএস) প্রধান আহমাদ আল-শারা।  আসাদের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এই নেতা বলেছেন, আফগানিস্তান একটি গোষ্ঠীভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। সেখানে ভিন্ন রীতিনীতি রয়েছে। সিরিয়ায় মানুষের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ আলাদা।

নারী শিক্ষার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ইদলিবে প্রায় আট বছর ধরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। যতদূর জানি, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নারীর সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি।

সিরিয়ার মদ্যপান অনুমোদন করা হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, অনেক বিষয় নিয়ে আমার মন্তব্য করার অধিকার নেই।  কারণ, এগুলো আইনি ব্যাপার।

আহমাদ আল-শারা জানিয়েছেন, তার দেশ এক দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধে ক্লান্ত।  বর্তমান এটি তার প্রতিবেশী বা পশ্চিমাদের জন্য হুমকি নয়।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ