মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪ ।। ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘ইসলামি জনমতকে ‘মৌলবাদ’ বলা ফ্যাসিবাদী আচরণ’ খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, ১৪৪ ধারা জারি ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস বেফাকের ৪৮তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার নিবন্ধনের শেষ দিন শুক্রবার 'মৌলবাদী' 'সাম্প্রদায়িক' শব্দ ব্যবহার করে জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে আলিয়া মাদরাসা সিলেবাস-কারিকুলাম প্রণয়নে কমিটি গঠনের দাবি পাকিস্তান সফরে ড. জাকির নায়েক, ভাষণ দেবেন একাধিক শহরে গুজব ছড়িয়ে গার্মেন্টসে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে: শ্রম উপদেষ্টা আওয়ার ইসলামের আয়োজনে শুরু হচ্ছে ‘ভাষা সাহিত্য সাংবাদিকতা সার্টিফিকেট কোর্স’ কাজে না ফেরা পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বৈরুতসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা ও হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর এবার লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও গোলন্দাজ বাহিনী ইতোমধ্যেই দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেছে বলে ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে। একইসঙ্গে বিমান হামলাও চালাচ্ছে দখলদার দেশটি।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সৈন্যরা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যস্থল ও অবকাঠামোর বিরুদ্ধে ‘সীমিত, স্থানীয় ও লক্ষ্যভেদী স্থল হামলা' শুরু করেছে।

তারা জানায়, তারা সীমান্তের কাছে লেবাননি গ্রামগুলোকে টার্গেট করছে। হিজবুল্লাহ এসব অবস্থান থেকে উত্তর ইসরায়েলের ইসরায়েলি কমিউনিটিগুলোর প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছিল।

ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতারা হামলাটি অনুমোদন করেছে। এর আগে আইডিএফের জেনারেল স্টাফ এবং নর্দার্ন কমান্ড এ ব্যাপারে প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা সম্পন্ন করে বলে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়। তারা জানায়, স্থল সৈন্যদের বর্তমানে বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী সহায়তা করছে।

‘অপারেশন নর্দার্ন অ্যারোস’ নামে এই হামলাটি গত মাসে শুরু হওয়া অভিযানেরই সম্প্রসারিত রূপ। গত কয়েক দিন ধরে এই হামলাটি আসন্ন বলে মনে হচ্ছিল। বিশেষ করে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনটি ইসরায়েলে অব্যাহতভাবে ইসরায়েলের সামরিক অবস্থানে রকেট হামলা চালানোর ফলে উত্তেজনা বাড়ছিল।

ইসরায়লি হামলায় হামাসের এলিট ফোর্স রাদওয়ান ফোর্স বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারকে হারিয়েছিল। তবে তাদের যোদ্ধারা এখনো সক্রিয় আছে। নাসরুল্লাহ জীবিত থাকার সময় বলেছিলেন যে হিজবুল্লাহর এক লাখের বেশি যোদ্ধা রয়েছে। ফলে কমান্ডাররা নিহত হলেও তাদের সহকারীরা রয়ে গেছেন। যোদ্ধারাও আছেন। আর তাদের অবকাঠামোগুলো এখনো দক্ষিণ লেবাননে সক্রিয় রয়েছে। তারা প্রতিরোধ চালাতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের জন্য হিজবুল্লাহ প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছেন সংগঠনটির উপ-নেতা নাঈম কাসেম। গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ভাষণ দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পর এটি ছিল কাসেমের প্রথম বক্তব্য। নাঈম কাসেম বলেন, আমরা যেকোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এবং ইসরায়েল স্থলপথে প্রবেশ করলে আমরা স্থল যুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। আমরা আগেও জয়ী হয়েছি, এবারও জয়ী হবো।

সূত্র: আল জাজিরা।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ