সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫


যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধের দ্বারপ্রান্তে টিকটক


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় চীনা মাইক্রো-ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করতে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে একটি বিল পাস হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিনেটে এই বিলটি তোলা হলে ব্যাপক সমর্থন পেয়ে তা পাস হয়। এতে পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৭৯ জন এবং বিপক্ষে ১৮ জন সিনেটর ভোট দিয়েছেন। এই বিল পাসের ফলে টিকটক নিষিদ্ধের একেবারে দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিনেটে এই বিলটি তোলা হলে ব্যাপক সমর্থন পেয়ে তা পাস হয়। এতে পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৭৯ জন এবং বিপক্ষে ১৮ জন সিনেটর ভোট দিয়েছেন।

এর আগে গত ১৩ মার্চ জনপ্রিয় এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাস হয়। এবার সিনেটের অনুমোদন লাভের ফলে বিলটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাঠানো হবে। তিনি সই করলে এটি আইনে পরিণত হবে। আর বাইডেন বেশ আগেই এই বিলে সই করার কথা ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।

মার্কিন গোয়েন্দা কমিটির প্রধান রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বলেছেন, বহু বছর ধরে আমরা চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপের একটির নিয়ন্ত্রণভার দিয়ে রেখেছি, যা বিপজ্জনকভাবে অদূরদর্শী পদক্ষেপ ছিল। চীনা মালিককে এই অ্যাপটি বেচে দিতে একটি নতুন আইনের দরকার ছিল। এটি আমেরিকার জন্য নেওয়া একটি ভালো পদক্ষেপ।

নতুন এই বিলে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাপটির মালিকানা বেচে দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ৯ মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যদি প্রতিষ্ঠানটি এই সময়ের মধ্যে তা না করে তাহলে তাহলে আমেরিকায় টিকটিক নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য টিকটকের সঙ্গে বিবিসির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক তারা কোনো জবাব দেয়নি। তবে গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, মার্কিন আইনপ্রণেতাদের এই পদক্ষেপের কারণে দেশটির ১৭ কোটি নাগরিকের বাকস্বাধীনতার অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। ৭০ লাখ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করতে চাইছে যা তাদের অর্থনীতিতে বছরে ২৪ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখে। এ ছাড়া গত মাসে টিকটক রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন অ্যাপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

২০১২ সালে টিকটক চালু করে চীনের বাইটড্যান্স। কয়েক বছর পরই আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই অ্যাপটি। তবে ভিডিও অ্যাপসটির ওপর বেইজিংয়ের একতরফা প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন। কারণ এটির মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স বেইজিংভিত্তিক। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে ওঠতে পারে, বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন তারা। তাই বহু দিন ধরে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।

সূত্র: বিবিসি।

টিএইচএ/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ