কাতারের মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস তাদের শর্তাবলী প্রকাশ করেছে। এই প্রস্তাব ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কাছেও দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবে প্রত্যেক জিম্মি ইসরায়েলি নারী সৈন্যের মুক্তির জন্য ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা অন্তর্ভুক্ত আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস চায় জিম্মি চুক্তির শর্তাবলী তিন ধাপে কার্যকর হোক যার প্রতিটি পর্যায় ৪২ দিন স্থায়ী হবে।
প্রথম পর্যায়ে হামাস বলেছে, ইসরায়েরি সৈন্যদের (আইডিএফ) অবশ্যই গাজার রশিদ সড়ক এবং সালাহ আল-দিন সড়ক থেকে সরে যেতে হবে, যাতে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোকেরা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে, একটি সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে এবং কেবল তখনই হামাস ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিতে হলে অবশ্যই ৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে। হামাস যেসব বন্দীর মুক্তি দাবি করেছে তাদের মধ্যে ৩০ জন ইসরায়েলি কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
প্রতিবেদনে অনুসারে, তৃতীয় ধাপে হামাস গাজার ‘বিস্তৃত পুনর্গঠন’এর দাবি জানিয়েছে। তবে এটা বলতে তারা কী বুঝিয়েছে খবরে সেটা উল্লেখ করা হয়নি।
হামাসের যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল এখনও অফিশিয়ালি মন্তব্য করেনি। তবে নেতানিয়াহু হামাসের দাবিগুলো মানবেন না বলে শোনা যাচ্ছে।
এনএ/